সূর্যোদয়ের পূর্বেই ডেকে তুলতেন
বলতেন- যা, পা ঝেড়ে আয়;
কমলার মা আবার মুখ ধুয়ে ফেলবে।
নিত্যদিন আমার পা, ঝাড়ফুঁক না করালে
ফুটবল খেলতে পারবো না।
প্রতিদিনই বলতেন, যাবি আর আসবি,
পুকুর পাড়ে বসে থাকলে আজ ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে লাল করে ফেলব।
কোন দিনও মনে থাকত না সে শাসন।
দু’চোখ রক্তজবার লালে যখন
বন্ধ হয়ে উঠত, আর দূরে দেখতাম
একটা ছায়ার মত মানুষ;
তাছাড়া কবেই বা উঠেছি পুকুর থেকে।
বিকেলে ঘুড়ি উড়াতে গেলে
সেই সাবধান বাণী, মনে থাকে যেন;
৫টায় স্যার আসবে পড়াতে।
কিন্তু মন যে প্রতিদিনই
ঘুড়ির মত আকাশে উড়ছে,
কখনো কখনো ভো’কাট্টায়
কোন সুদূর আকাশে হারিয়ে যেত;
পাশের বাড়ির কেউ
নয়তো রফিক স্যার নিজেই
কান ধরে নিয়ে ফিরতেন প্রাইভেট পড়াতে।
আর সন্ধ্যা হলে
নামতার মত একই কথা,
সব পড়া শেষ করে তবেই শুবি;
নয়তো স্কেল দিয়ে পিটিয়ে
আজ ঘুড়ি উড়ানোর সাধ মেটাবো।
মা’গো;
আমার যে ঘুড়ি উড়ানোর সাধ এখনও জাগে,
তোমার বারণ; ঝাড়ু পেটানোর ভয়;
আর স্কেলের ভয় না পেলে
কিছুই যে আর ইচ্ছে করে না।
উপর থেকে কি আরেকবার
ধমকের আবেগে বলতে পারো না-
হয়েছে শুয়ে পড়, এখন ঘুমা
ভোরে উঠে বাকি পড়া শেষ করবি।
ও ‘মা, মা;
আর একবার কি স্কেল দিয়ে
দেয়া যায় না পিঠে কয়েক ঘা,
যেন ঘুমাতে পারি।
খুব ভোরে উঠবো মা,
ধমকে একবার ঘুমাতে দাও
একবার মা
একবার।