ওয়াসীম আকরাম, বৈরুত, লেবানন থেকে: বকেয়া বেতন ও বেতন ডলারে আদায়ের দাবিতে ১২ মে, ২০২০ মঙ্গলবার লেবাননের রোড “ক্লিনার কোম্পানী রামকু” কোম্পানীতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা রাস্তায় নামলে তাদের প্রতিহত করতে রামকু কর্তৃপক্ষ পুলিশ খবর দিলে পুলিশের সাথে বাংলাদেশি কর্মীদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত বাংলাদেশি কর্মীরা রামকুর অফিস ভাংচুর করে। পুলিশ এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, গত প্রায় ৭ মাস ধরে রামকু কোম্পানী বাংলাদেশি কর্মীদের লেবানিজ পাউন্ডে বেতন পরিশোধ করে আসছে, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী তাদের আমেরিকান ডলারে বেতন পরিশোধ করার কথা। লেবাননে ডলারের দাম বাড়ায় দেশে টাকা পাঠাতে বিপাকে পড়ে তারা। অন্য দিকে গত ৩ মাস যাবত কোন কর্মীদের বেতন পরিশোধ করছেনা কোম্পানীটি। বেতন ভাতা আদায়ের দাবিতে মঙ্গলবার কর্মীরা বাংলা, ইংরেজী ও আরাবী ভাষায় নথি জমা দেয়। কিন্তু তাদের ইনচার্জ সেই নথিপত্র না দেখেই ডাস্টবিনে ফেলে দিলে ঘটে বিপত্তি। ইনচার্জের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাংলাদেশিরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে রামকু কর্তৃপক্ষ পুলিশ খবর দেয়। বাংলাদেশিদের সংখ্যা শতাধিক দেখে লেবানন পুলিশ দল বেঁধে তাদের কথা না শুনেই তাদের উপর চড়াও হলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে।
ঘটনার এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা রামকুর অফিস ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় একজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। ১৪ মে, ২০২০ বৃস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে লেবাননে শ্রমন্ত্রণালয় ও রামকু কর্তৃপক্ষের সাথে বসার কথা ছিল, কিন্তু রামকুর উকিল না আসতে পারায় ১৫ মে ২০২০ শুক্রবার ফের বসার দিন ধার্য্য করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার দূতাবাসের একটি দল রামকু পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন। এবিষয়ে লেবাননের শ্রমিক সংগঠন ফেনাসলের সভাপতি আব্দুল্লাহ ক্রেস্ট জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। বাংলাদেশি কর্মীরা সুন্দরভাবে তাদের সমস্যার কথা কাগজে লিখে তাদের কোম্পানীকে দিতে চাচ্ছিল। কিন্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ইনচার্জ সেটিকে ডাষ্টবিনে ফেলে দিবে কেন। এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হবে স্বাভাবিক। আব্দুল্লাহ আল মামুন আশাবাদী রামকু শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবে এবং গ্রেপ্তারকৃত কর্মীকে ছাড়িয়ে আনবেন।