প্রবাস মেলা ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ শপথ নিয়েছেন। দেশটির গভর্নর জেনারেল ডেভিড হারলি লেবার পার্টির নেতা আলবানিজকে শপথবাক্য পাঠ করান। তার সঙ্গে শপথ পড়েন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ংসহ চার মন্ত্রী।অস্ট্রেলিয়ার ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অ্যান্থনি আলবানিজ। ২৩ মে ২০২২, সোমবার তিনি শপথ নেন। এর মধ্য দিয়ে ৯ বছর পর আবারও অস্ট্রেলিয়ায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে লেবার পার্টি।
মঙ্গলবার জাপানের রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য কোয়াড সম্মেলনকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি করে এ শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে এ কৌশলগত নিরাপত্তামূলক জোট গঠন করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে অংশ নিতেই আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিলেন অ্যান্থনি আলবানিজ। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া আনানুষ্ঠানিক ফলে এগিয়ে লেবার পার্টি। রবিবার থেকে গণনা করা হচ্ছে পোস্টাল ব্যালটে পাঠানো ২৭ লাখ ভোট।
ভোটের ফলে হারের ইঙ্গিত পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায়ই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে প্রতিপক্ষ আলবানিজকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি নিজ দল লিবারেলসের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা ১৫১টি। একক সরকার গঠন করতে হলে অন্তত ৭৬ আসনে জয় প্রয়োজন।
এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। লেবার পার্টি ৭২ আসন জিতছে। মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট পাচ্ছে ৫৫টি আসন। ইনডিপেনডেন্ট এবং দ্য গ্রিনস পেতে যাচ্ছে ১১টি আসন।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লেবার পার্টির আরো চারটি আসন প্রয়োজন। এখনো নিশ্চিত না হওয়া ১৩ আসন থেকে যদি লেবার পার্টি চার আসন পেয়ে যায়, তবে তো হলোই। না পেলে কোনো ছোট দলের সঙ্গে জোট করে তাদের সরকার গঠন করতে হবে।
এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরো বেশি কাজ করার এবং ক্ষমতায় ভারসাম্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৫৯ বছরের আলবানিজ।
স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতের পর জয়ের ভাষণে তিনি বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়াকে একত্রিত করতে চাই। আমি আমাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য খুঁজতে চাই এবং ঐক্যের প্রচার করতে চাই, ভয় বা বিভাজন নয়।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের জন্য সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি একটি দুর্নীতিবিরোধী কমিশন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।