রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দিনের পর দিন একেক মেঘা প্রকল্প গড়ে উঠছে সারাদেশে, তার পাশাপাশি থেমে নেই আনোয়ারা উপজেলাও। বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন আনোয়ারার দিকে। কি হতে চলেছে আনোয়ারা। একের পর এক প্রকল্প আর উন্নয়ন। ঠিক এমন সময়ে আনোয়ারার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ ও পিছু টেনে ধরেছে ২নং বারশতের বেশ কিছু কর্দমাক্ত মেঠোপথ।
২৬ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার, বারশত গ্রামের এক শিক্ষিত সচেতন প্রবাসী তরুণ মো: তারেক সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক খোলা চিঠি পোস্ট করেন, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর খোলা চিঠিতে রাস্তাগুলির উন্নয়ন চান। এরপর থেকে তার পোষ্টের ওয়ালে একের পর এক কমেন্টস করতে দেখা যায়। সেই পোষ্টের নিচে অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম শাহ ও অত্র ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মী. আবদুর রহিমও কমেন্ট করতে দেখা যায়। খোলা চিঠিটি আমাদের প্রতিনিধির নজরে আসলে সরেজমিনে রাস্তাগুলি পরিদর্শন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায় ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মরহুম আমজাদ আলী সড়ক ও মরহুম আশরাফ আলী তালুকদার সড়কসহ বোয়ালিয়ার মোড় থেকে বোয়ালিয়া ইসলামিয়া বড় মাদ্রসা সড়ক এই তিনটি সড়ক সরকার প্রদত্ত এলজিআরডি তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী সড়ক। এই রাস্তাগুলির প্রতিটি দুই প্রান্তে দুই মাথায় রয়েছে বেশ কিছু হাট জার, দোকান, স্কুল, মাদ্রসা, সড়কের ডানে-বায়ে রয়েছে শত শত বসত বাড়ি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত ও চলাফেরা করছে। প্রতিদিন স্কুল, মাদ্রসার ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ক্লাস করতে যায়। আরো রয়েছে ঐতিহ্যেবাহী জইদ্দারহাট, সড়ক দুটি সংযোগ করেছে পাশের আরেকটি ইউনিয়ন ৩নং রায়পুর। এই পথ দিয়ে প্রতিদিন ইমারজেন্সি চলাফেরা করছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের গাড়ি ও মানুষ। যাতায়াত করছে বন্দর কর্তৃপক্ষের গাড়ি ও মানুষ, যাতায়াত করছে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের গাড়ি ও মানুষ। রয়েছে বোয়ালিয়া হোসাইনিয়া নতুন মাদ্রসা, রয়েছে উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন খাইয়রিয়া মাদ্রসা, রয়েছে বন্দরের বাতিঘর কার্যালয়। এখানে দুঃখজনক বিষয় হলো এই রাস্তা দুটি এখনো কাচা, ধুলিমাখা, কর্দমাক্ত। আর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই এই রাস্তা দুটি অচল হয়ে পরে। এত কাদা মাটি থাকে যে বহু স্কুল, মাদ্রসার ছাত্র-ছাত্রী, পথযাত্রী পা পিছলে বহুবার আহত হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী আরো জানান, প্রতি পাচ বছর পর পর আমরা আশ্বাস পাই যে, যদি এইবারত রাজার ভোট (সংসদ ইলেকশন) শেষ হলে এই রাস্তা পিচ ঢালাই অইব্যু, এরপর আয়্যি চেয়ারম্যানর ও মেম্বার ভোট। চেয়ারম্যান ও মেম্বার ভোট চাইতে আইয়িলে ইতারা (তারা) আরারে হইয়েদে এইবার ভোটত জিতিলি এগিন বেগ্যিন অই যাইব্যুগই। এইল্লে আরা শুনিরদ্দি বিভিন্ন দলর মানুষত্যুন। আরার বাপ-দাদার আমুলোরত্যুন শুনি আইরদি। আরার দাদাও নাকি ইতারার বাবা মানে আরার বড় দাদার ত্যুন এইল্লে উনি আইস্যেদে। এহন আরা নজানি আসলে এই রাস্তা এগ্যুন অইব্যু না নওইব্যু! যদি বারিষাত (বর্ষা) উগগাবার আরার অভিভাবক মন্ত্রী মহোদয় আরার এই কষ্টগিন দেখিলি ইবা অইযাইব্যুহই আরার বিশ্বাস।
এবিষয়ে,ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম শাহ উল্লেখিত পোষ্টে তার এক কমেন্টে জানান,(হুবহু) ধন্যবাদ,লিখাটি যথাযথ,ইনশাল্লাহ জাবেদ ভাইয়ের সহযোগিতায় কাজগুলো এগিয়ে নিতে জান দিয়ে চেষ্টা করবো।
এবিষয়ে বারশত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার মো.আবদুর রহিম উল্লেখিত পোষ্টে তার এক কমেন্টে জানান(হুবহু), আমি চেয়ারম্যান মহোদয় এর কাছ বারবার ৬ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন ব্যাপারে তুলে ধরলে উনি আশ্বাস দিয়েছেন কিছু দিন পর ইনশাআল্লাহ কাজ শুরু করবেন।