প্রবাস মেলা ডেস্ক: পুরান ঢাকার বাবু বাজার ব্রিজসংলগ্ন কেরাণীগঞ্জের লায়ন শপার্স ওয়ার্ল্ডে ‘লায়ন সিনেমাস’ দর্শক চাহিদার কারণে হলিউডের ‘থর’ নামিয়ে শো বাড়ানো হয়েছে রুচিশীল দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্পের ‘হাওয়া’ সিনেমার।
হলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা আব্দুল খালেক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমাদের চারটি স্ক্রীনে প্রতিদিন তিনটি করে শো চলছিল হলিউডের ‘থর’ সিনেমার। কিন্তু দর্শক চাপেই ‘হাওয়া’ সিনেমার শো বাড়াতে হচ্ছে; সে কারণে ‘থর’ নামিয়ে ওই তিন থ্রিডি স্ক্রীনে আজ থেকে ‘হাওয়া’ চালাচ্ছি।
পোস্টার ও ট্রেইলারে মুগ্ধতা ছড়ানো ‘হাওয়া’ সিনেমাটির গান ও প্রচারণার কৌশলে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে। সিনেমাটির অগ্রিম টিকেট বিক্রির হিড়িকও পড়েছে। মুক্তির প্রথম দিনেই সিনেমাটি হাউসফুল যাচ্ছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাকার একাধিক হল মালিক।
দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক স্টার সিনেপ্লেক্স প্রতিদিন সিনেমাটির ২৬টি শো চলচ্ছিল, তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘হাওয়া’র দৈনিক শো ১৩টি। সিনেমাটির চলতি সপ্তাহের শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে সিনেস্কোপে। শুরু হয়েছে আগামী সপ্তাহের টিকেট বিক্রি হচ্ছে।
টিভি ফিকশন ও বিজ্ঞাপনের খ্যাতিমান নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় ‘হাওয়া’ সিনেমাটির গল্প মাঝসমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি মাছ ধরার ট্রলারে আটকে পড়া আট জন মাঝি-মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনিকে ঘিরে কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। মিস্ট্রি ড্রামা ঘরানার, ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি মূলত এ কালের রূপকথা। রূপকথানির্ভর সিনেমার প্রচলিত এ ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা বলে জানাচ্ছে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনি এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন।
পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন জানিয়েছেন, ‘এটি সমুদ্র, পানি, সম্পর্ক ও প্রতিশোধের গল্প, যেখানে উপজীব্য সমুদ্র। গভীর সমুদ্র ও সেখানে মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে নির্মিত গল্পের চলচ্চিত্র। ৮ জন মাঝিমাল্লার ও একজন বেদেনিকে নিয়েই গল্পটি তৈরি।’
তারকাবহুল এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সংগীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।