রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে পর্তুগালের লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিদের। পর্তুগালে একুশের দিনের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং তার সহধর্মিণী।
এরপর স্থানীয় সরকার জয়ন্তা ফ্রেগসিয়া আরিয়ারো এর প্রেসিডেন্ট মিজ মার্গারিদা মার্টিন্স এবং পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মিজ ক্লউডিয়া রিবেইরো সহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর্তুগাল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পর্তুগাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পর্তুগাল, পর্তুগাল -বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন, বৃহত্তর নোয়াখালী এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, বৃহত্তর ফরিদপুর এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল, হবিগঞ্জ এসোসিয়েশন ইন পর্তুগাল এবং হবিগঞ্জ কমিউনিটি ইন পর্তুগাল সহ পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটি এর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ ও পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীগণ।
এসময় শহীদ মিনারের পাদদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের প্রথম সচিব মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার জয়ন্তা ফ্রেগসিয়া আরিয়ারো এর প্রেসিডেন্ট মিজ মার্গারিদা মার্টিন্স এবং পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মিজ ক্লউডিয়া রিবেইরো শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে প্রতিবাদ করা। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো বলেই আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি। এ জন্য প্রতিটি মুহূর্ত একুশের চেতনা ধারন করা উচিত আমাদের। একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়ার জন্য সকল প্রবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি। এদিকে একুশের অনুষ্ঠানমালাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে পর্তুগালের আইন শৃংখলা বাহিনী।