প্রবাস মেলা ডেস্ক: নীরবে নিভৃতে চলে গেলেন মুক্তিদ্ধের নিলোর্ভ সাহসী কুটনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমদ। দুঃখে অভিমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এলেননা, আমরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম না।
২০ জুন ২০২২, সোমবার সন্ধায় কুটনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদে বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) শোকবাণীতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানানোর নিমিত্তে পাশাপাশি লন্ডনস্থ ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক হাসনাত হোসাইন এমবিই এবং জাতির পক্ষ থেকে তাঁর একটি প্রতিকৃতি ভাস্কয্য লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস চত্বরে এবং ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরে স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন করছি। তাঁকে সম্মানিত করলে দেশকে সম্মানিত করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনায় সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য যে, মরহুম মহিউদ্দিন আহমদ বিদেশস্থ প্রথম পাকিস্তানী কুটনীতিবিদ যিনি পাকিস্তানের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা অগ্রাহ্য করে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পরামর্শক ও সহায়তাকারী হিসাবে। বাংলদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হবে তাঁকে প্রতিবছর স্মরণ করা এবং স্কুল টেক্স্ট র্বোডের বইতে তাঁর জীবনী স্কুলে পড়ানো আবশ্যিক দায়িত্ব হিসাবে বিবেচিত হওয়া উচিত। তিনি সাধারণ জীবন যাপন করতেন, তাঁর নিজস্ব কোন গাড়ী ছিলোনা, উত্তরা তাঁর বাসভবন হতে তিনি পাবলিক বাসে চলাফেরা করতেন।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, ‘মরহুম মহিউদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দারিদ্র, উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে তাঁর বহুল বাংলা ও ইংরেজীতে দেশে-বিদেশে প্রকাশিত লেখা এবং স্মৃতি, গুণাবলী আমাদের জাতির ইতিহাসে আজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাকুক এটাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কামনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দি আহমদ এর মুত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি ছিলেন মানবিক, সৎ ও মহৎ মনের অধিকারী।
শোকবাণীতে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।