মোস্তফা ইমরান রাজু, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়া সরকারের সাধারণ ক্ষমায় রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন বিভিন্ন দেশের ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অভিবাসী। দেশটির অভিবাসন বিভাগের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন তারা। প্রত্যাবর্তন এ প্রক্রিয়ায় সবচে’ বেশি সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার। বাকিরা বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের। তবে এর মধ্যে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এবং কতজন অন্যান্য দেশের নাগরিক তা উল্লেখ করা হয়নি।
সোমবার (১০ মার্চ) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নিজ দেশে ফিরতে ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী নাম নিবন্ধন করে। নিবন্ধন করা এসব প্রবাসীরাই বছর জুড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। সরকারি হিসাব বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, দেশটিতে সক্রিয় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২৩ লাখ।
এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে ৫০০ রিঙ্গিত এবং শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়।
এদিকে, দেশে ফিরে যাওয়ার কর্মতৎপরতা’র মধ্যেই মালয়েশিয়ায় কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ কাজের ভিসা নেই, এমন বিদেশিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।
এই অভিযানের ফলে দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন যদিও মালয়েশিয়া সরকারের তথ্য মতে প্রায় ৯ লাখ বাংলাদেশী বৈধভাবে কর্মরত আছেন এখানে।
অভিবাসন বিভাগ বলছে, ফিরে যাওয়াদের তালিকায় বেশিরভাগই কাগজপত্রবিহীন বা কর্মহীন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদেরকে অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় দেশটিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।