হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক দেশের প্রথম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’। বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নিউইয়র্কে। ৮ মে ২০২২ কুইন্সের বোম্বে থিয়েটারে এ উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. এম মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় চলচ্চিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রি আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, সংসদ সদস্য নুরুল আমিন, অপরাজিতা হক এবং নাহিদ ইজাহার খান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ সহ অনেকে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য এসেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিউইয়র্কের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রবাসীদের অনেকে। বাবা মায়েরা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন নতুন প্রজন্মের সন্তানদেরকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সিনেমাহলে আমরা ‘মুজিব আমার পিতা’ সিনেমাটির প্রদর্শন করেছি। আমরা বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন এবং রাজনৈতিক আদর্শকে তুলে ধরার জন্যই নিউইয়র্কে এই ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আয়োজন করেছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর আরেকটি চলচ্চিত্র তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি গেম তৈরি করছি। ফলে গেমিং এবং অ্যানিমেশন মার্কেটে বাংলাদেশের যে স্বক্ষমতা সেটাও আমরা তুলে ধরতে পারছি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য কুইন্সের বোম্বে থিয়েটারে জমায়েত হয়েছিলেন অসংখ্য প্রবাসী। টুঙ্গিপাড়ার প্রতিবাদী কিশোর একদিন হয়ে উঠলেন একটি দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, ইতিহাসের মহানায়ক। মহাসংগ্রামের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার একটি পর্যায়; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, নিউইয়র্কের পর পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।