দেশের নাম : কানাডা
রাজধানী : অটোয়া
বৃহত্তম শহর : টরন্টো
রাষ্ট্রীয় ভাষা : ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ
সরকার : ফেডারেল সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
জনসংখ্যা : প্রায় ৩৭. ৫৯ মিলিয়ন
মুদ্রা : কানাডিয়ান ডলার
কলিং কোড : +1
ইন্টারনেট টিএলডি : .ca
আরো কিছু তথ্য: কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি দেশ। আয়তনের দিক দিয়ে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটি উত্তর আমেরিকার প্রায় ৪১ শতাংশ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। কানাডা হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শীতলতম দেশ। দেশটিতে ছয়টি সময় অঞ্চল বিদ্যমান রয়েছে। এই দেশের জলবায়ুতে গ্রীষ্মকালে হালকা ভ্যাপসা ঠান্ডা, ভিজা কুয়াশা (কিছু সময়ে গরম রৌদ্রসম্পন্ন), শীতকালে ভীষণ ঠান্ডা, বরফাচ্ছান্ন, শুষ্ক এবং তুষারাপাত থাকে। দেশটিতে প্রতিদিন আর্কটিক বরফাচ্ছন্নের দ্বারা শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। দেশটিতে রাশিয়ার জলবায়ুর মত শৈত্যপূর্ণ এবং হিমশীতল। এই দেশে বছরে ৮ মাস বরফাচ্ছন্ন থাকে।
![](https://www.probash-mela.com/wp-content/uploads/2019/11/maxresdefault.jpg)
কানাডা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি। দেশটি ওইসিডি এবং জি৮ গ্রæপের সদস্য। কানাডার অর্থনীতির সিংহভাগ সেবামূলক শিল্প নিয়ে গঠিত। দেশটির তিন চতুর্থাংশ কোন না কোন সেবা শিল্পের সাথে যুক্ত আছেন।
কানাডা সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
* অভিবাসীদের প্রতি প্রায় শতভাগ কানাডিয়ানের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।
* শতকরা ৮৪ ভাগ কানাডিয়ান কানাডার নাগরিক হওয়ায় নিজেদেরকে সুখী মনে করেন।
* কানাডা তার প্রতিটি নাগরিক/পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট এর জন্য বিশ্বের সেরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে বিনা খরচে।
* কানাডা বিশ্বের সেরা নিরাপদ দেশগুলোর একটি।
* কানাডা বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুবৎসল দেশ।
* কানাডায় উচ্চশিক্ষিতের হার অনেক বেশী। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের চেয়েও।
* কানাডিয়ানরা সততাপরায়ণ। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের দেশসমূহে দুর্নীতি যেমন লক্ষণীয়ভাবে বিদ্যমান সেই তুলনায় কানাডা বাস্তবিক অর্থেই দুর্নীতিমুক্ত। বিশ্বে কানাডিয়ানরা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত।
* কানাডিয়ানরা কৌতুকপ্রিয় এবং নিজেদেরকে খুব বেশীমাত্রায় গুরুগম্ভীর করে করে রাখেন না।
* বিনা বাধায় এবং বিনা আপত্তিতে কানাডায় অভিবাসীরা তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুশীলন করতে পারেন।
* কানাডা তার নাগরিকদেরকে সর্বোচ্চ মানের জীবন যাপন পদ্ধতি প্রদান করে থাকে।
![](https://www.probash-mela.com/wp-content/uploads/2019/11/Parliament-1024x766.jpg)
বাংলাদেশের সাথে কানাডার সম্পর্ক: ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কানাডা সরকার, জনগণ এবং মিডিয়া সহানুভূতি প্রকাশ করেছিল। কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ঢাকায় কানাডিয়ান দূতাবাস এবং অটোয়ায় বাংলাদেশর দূতাবাস রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মতে, কানাডায় প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছে, যাদের অধিকাংশই টরন্টো, ভ্যানকুভের, মন্ট্রিল, ক্যালগ্যারি এবং অটোয়ায় বসবাস করেন।