প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকে সাধারণ সম্পাদক পদটি ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। সমিতির এ পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত। কিন্তু এর মধ্যেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
এরইমধ্যে শিল্পী সমিতির মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে নতুন করে বেশ কয়েকজন অভিনয় শিল্পীকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়। ওই পরিচয়পত্রে সভাপতি হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন নিপুণ আক্তার। সভাপতির স্বাক্ষরের বিষয় নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এবং আপিল বোর্ডের রায়ে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান কোনো প্রশ্ন না তুললেও, নিপুণ আক্তারের স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পী সমিতিতে অবৈধভাবে আবার কার্যক্রম শুরু করেছেন নিপুণ। তিনি সব ধরনের মিটিংয়েও অংশ নিচ্ছেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কাজে তিনি জড়িত থাকছেন। নতুন কয়েকজন অভিনয় শিল্পীর পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর করেছেন নিপুণ, যা অন্যায় ও অবৈধ। এখন পর্যন্ত মামলার সমাধান হয়নি। আমি মনে করি আইন মানা হচ্ছে না।’
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিপুণ আক্তার ১৬৩ ভোট আর জায়েদ খান পান ১৭৬ ভোট। নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এর পরদিন ২৯ জানুয়ারি আপিল বোর্ডে আপিল করেন নিপুণ।
এরপর জায়েদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলে তার প্রার্থীতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। পরে জায়েদ খান উচ্চ আদালতে প্রার্থীতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে প্রার্থীতা ফিরে পান। কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই আবারও উচ্চ আদালতে আপিল করেন নিপুণ। এরপর সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত, যা এখনও চলমান।