রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘ভিএফ-কনটুর’ বাংলাদেশের ১১টি গার্মেন্টসের ২৬ লাখ ডলার (প্রায় ২৪ কোটি টাকা) মূল্যমানের রপ্তানি করা পণ্য ফেরত পাঠিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে পাঠানো এই পণ্যগুলো যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বন্দরে পণ্য পৌঁছলে ভিএফ-কনটুর তা গ্রহণ না করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সমঝোতা না হলে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পণ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
এই ১১টি গার্মেন্টসের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অবস্থিত ‘ক্যানপার্ক’ও। বাংলাদেশি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলো একে ‘প্রতারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তারা বলছেন, ‘এমনিতেই গার্মেন্টস ব্যবসায়ের অবস্থা খারাপ। এটি এখন আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বায়ারের এই আচরণটি ঠিক নয়। সমস্ত শর্ত মেনেই পণ্য পাঠানো হয়েছে। জাহাজে দুর্ঘটনা ঘটলেও পণ্যের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে দেনদরবার চলছে। বায়ার একটু পজিটিভ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসলেই সমস্যার সমাধান হবে।’ প্রতারণার শিকার পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নাসা অ্যাপারেলস, এমএনসি অ্যাপারেলস, স্নোটেক্স, এনভয়, কেনপার্ক, সিমটেক্স, ডিএমসি, তারাশিমা, ফাউন্টেন, কটন ক্লাব, মেডলার গার্মেন্টসের সরবরাহ করা পণ্য দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভিএফ-কনতুর।
গত বছরের ডিসেম্বরে পণ্যগুলো পাঠিয়েছিল এই ১১টি পোশাক কারখানা। পণ্যের মূল্য বাবদ ভিএফ-কনটুরের কাছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা প্রায় ২৬ লাখ ডলার। ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভিএফ-কনটুর গ্রহণ না করায় সেসব পণ্য এখন দেশে ফেরার পথে রয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভিএফ-কনটুরের কাছে পাওনা প্রায় ২৬ লাখ ডলারের মধ্যে নাসা গ্রুপের দুটি কারখানা নাসা অ্যাপারেলস ও এমএনসি অ্যাপারেলসের রফতানি বিলই ৯ লাখ ৯৮ হাজার ১১০ ডলার। গত ৬ জানুয়ারি ওই ১১ প্রতিষ্ঠানের রফতানি পণ্যের চালান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর আগে ৩ জানুয়ারি কানাডার পূর্ব উপকূলে হ্যাপাগ লয়েডের পণ্যবাহী জাহাজ ইয়ানতিয়ান এক্সপ্রেসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জাহাজের মালিকপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।