প্রবাস মেলা ডেস্ক: গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর উত্তাল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার দেশটির উত্তর কিভু প্রদেশের প্রধান শহর গোমার রাস্তায় জনতা জাতিসংঘ মিশন-এমওএনইউএসসিও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দেশটিতে জাতিসংঘ মিশনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কয়েক দশকের পুরোনো লড়াই বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভ আরও উত্তরে বেনি এবং বুটেম্বো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া জানান, গোমায় পাঁচজন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান কর্নেল পল এনগোমা বলেন, বুটেম্বোতে সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুটেম্বোতে একজন শান্তিরক্ষী এবং দুইজন জাতিসংঘ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, বিক্ষোভকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর গুলি চালিয়েছে। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ঘাঁটি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। বিবৃতিতে একজন মুখপাত্র বলেন, এই সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর যেকোনো আক্রমণ যুদ্ধাপরাধ মন্তব্য করে কঙ্গোলি কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনাগুলি তদন্ত করে দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান গুতেরেস। এর আগে হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল এবং শক্তিবৃদ্ধি করা হচ্ছে। জাতিসংঘ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে মুয়ায়া টুইটারে জানান, নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর হামলা বন্ধ করতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ‘সতর্ক (ফাঁকা) গুলি’ ছুড়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা