মোহাম্মদ ফিরোজ: বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ১২০ দেশের ধর্ম প্রাণ মুসলমানের স্রোত এখন মক্কার দিকে। গত বছরের তুলনায় এই বছরের হজ্ব ব্যবস্থাপনা ইমিগ্রেশন অনেক সুন্দর হলেও লাগেজ নিয়ে ভোগান্তি শেষ নেই।
প্রতি বছরই হজ্ব যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। ইমিগ্রেশন ঝামেলা শেষ করে গাড়িতে উঠতে এবং লাগেজ পেতে আরও অনেকটা সময় হজ্ব প্লাজায় অপেক্ষা করতে হয় হজযাত্রীদের তবে এবার বাংলাদেশি হজযাত্রী যারা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে নিয়েছেন সেই সব হাজীদের সৌদি সরকারের রুট টু মক্কার অধীনে সরাসরি জেদ্দা বিমান বন্দর থেকে মক্কায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি যারা জেদ্দায় ইমিগ্রেশন করছেন তাদেরও কম সময় পার করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হজ্ব কাউন কিন্তু লাগেজ পাওয়ার ঝামেলা আগের মতোই রয়ে গেছে বলে অভিযোগ বরং, কোন কোন ক্ষেত্রে এই ঝামেলা বাড়ার এবং দীর্ঘ সময় ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশি হজযাত্রীরা।
হজ্ব করতে আসা মাজহারুল ইসলাম জানান, আমি ১৩ তারিখ সৌদিআরব আসছি, আসার পর ওমরাহ পালন করে হোটেলে এসে লাগেজ না পেয়ে কাপড় পরিবর্তন করতে পারি নি। পরে হজ্ব অফিসে আসছি অনেক খোঁজাখুজির করার পরেও অভিযোগ জানায় হজ্ব অফিসে আট দিন পরে আমার লাগেজ পাই। লাগেজ না পেয় অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হল আমাকে।
হাজী রফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে থেকে জেদ্দা থেকে আসতে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি, কিন্তু ওমরাহ করে হোটেলে এসে এখন লাগেজ পাচ্ছি না, গোসল করে কি পরিধান করব বুঝতে পারছি না । অনেক বড় সমস্যায় পড়ে গেছি। অনেক ক্ষেত্রে লাগেজ পেতে সাত আট দিন লেগে যাচ্ছে, ফলে ওমরাহ পালন করার পর কাপড় পরিবর্তন করতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের আবার ঔষধ সেবন করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই।
আরেক হাজি বলেন, আমি বউকে নিয়ে হজ্বে আসছি আমার ওয়াইফ অসুস্থ, লাগেজ অপর মধ্যে ঔষধ , এখন ঔষধ খেতে না পেরে এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সৌদিআরবের রুট টু মক্কার কারণে বেশিরভাগ হাজি এই সুবিধা ফেলেও কিছু কিছু বেসরকারী এজেন্সির অব্যবস্থাপনার কারণ এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হজ্ব কাউন্সিল মাসুদুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, অনেক হাজীগণ তাদের লাগেজ হোটেলের নাম ঠিকানা সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণে হাজীদের লাগেজ পেতে বিড়ম্বনা পড়তে হচ্ছে। কিছু কিছু এজেন্সি এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখছে না। লাগেজর উপরে নাম ঠিকানা সঠিক তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। সৌদিআরবে এখন পর্যন্ত হজ্ব করতে বাংলাদেশ থেকে ৯৭,৩১২ জনের অধিক হজ্ব যাত্রী মক্কায় ও মদিনায় পৌছে। বার্ধক্য জনিত কারণে গতকাল পর্যন্ত ১৮ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হজ্ব সংশ্লিষ্টরা ।