তিনি একজন ক্রিয়েটিভ উদ্যোক্তা। প্রবল ইচ্ছাশক্তি, লক্ষ্যের প্রতি একাগ্রতার বলে তিনি ব্যর্থতার দেয়াল টপকে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে চলছেন। বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ১৯৯৮ সালে পেট্রোবাংলায় সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। চাকরি ছেড়ে ২০০০ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে মিশিগানে টয়োটা কোম্পানিতে চাকরি নেন। ৪ বছর পর জেনারেল মোটরস এ যোগ দেন ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। কিন্তু তার ভেতরের ‘আমি’ তাকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখায় যা তিনি ছাত্রজীবন থেকেই লালন করতেন। তাই ২০০৬ সালে চাকরিরত অবস্থায় বুয়েটের কয়েকজন বন্ধু মিলে আমেরিকার বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজ কোম্পানি ‘মোটেল সিক্স’ দিয়ে পর্যটন ব্যবসা শুরু করেন। এরপর একে একে অরিগন শহরের বিভিন্ন স্থানে ১২টি হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বলছিলাম যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী মাসুদুর খানের কথা। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে পর্যটন শিল্পের মতো প্রেস্টিজিয়াস খাতে নিজেকে তিনি উদারভাবে মেলে ধরেছেন। নির্মাণ করে চলেছেন একের পর এক নান্দনিক হোটেল-রিসোর্ট। করোনাকালের অনিশ্চিত সময়েও তার উদ্যম থামেনি। নতুন আইডিয়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘খান প্রোপার্টিজ গ্রুপ’। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হোটেল-রিসোর্ট সৃজনে সমৃদ্ধির অবাক করা পরিচিতি লাভ করেছে ‘খান প্রোপার্টিজ গ্রুপ’। এ গ্রুপের সাফল্যের অভিযাত্রী হিসেবে তিনি এখন দেশে-বিদেশে পর্যটন শিল্পের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রবাস মেলা’র সাথে এক সাক্ষাৎকারে তার সাফল্যের গল্প শোনান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শহীদ রাজু।
প্রবাস মেলা: ‘খান প্রোপার্টিজ গ্রুপ’ কিভাবে প্রতিষ্ঠা করলেন?
মাসুদুর খান: আমি সবসময় নিজেকে একজন এন্টারপ্রেনার হিসাবে দেখতে চাই। এর সুবিধা হলো নতুন নতুন আইডিয়ার জন্ম হয় যার ফলে নতুন কিছু করার ক্ষেত্র তৈরি হয়। গত ১৮ বছরে আমি যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন সিটিতে যেসব নতুন নতুন হোটেল, রিসোর্ট তৈরি করেছি তার প্রত্যেকটিই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ইউনিক পজিশন ধারণ করেছে। এই ইউনিকনেস এনেছি আমার নতুন নতুন কনসেপ্টের মাধ্যমে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করে। এ কারণে আমি অনেক রিকগেনিশনও পেয়েছি। কোভিড-১৯ পেন্ডেমিকের সময় যখন আমরা ঘরবন্দি হয়ে গেলাম তখন আমার চিন্তা হলো যে, কি করা যায়? এমন একটা কিছু করতে হবে যা আমাদের বর্তমান বা ভবিষ্যত প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে। কিন্তু পেন্ডেমিকের সময় নতুন কেউ বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নিবে না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেই শুরু করবো। সেই চিন্তা থেকে শুরু হলো খান প্রোপাার্টিজ গ্রুপের অভিযাত্রা। এর মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে নতুন কিছু প্রতিষ্ঠা করতে হবে যা পেন্ডেমিক পরবর্তী মানুষের নতুন চাহিদা পূরণ করতে পারে। কারণ পেন্ডেমিকের কারণে মানুষের জীবন যাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। যেমন, কর্মস্থলে না গিয়ে আমরা বাসায় বসে অফিস করেছি, প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিটিং করেছি। ফলে মানুষের প্রযুক্তি ব্যবহারের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। মানুষ তার আগের জায়গায় নেই। তাদের নতুন মাইন্ডসেট তৈরি হয়েছে। তাই আমার চিন্তায় এলো মানুষের এই নতুন লাইফস্টাইলের সাথে সমন্বয় করে পর্যটন শিল্পে নতুনত্ব আনতে হবে। হোটেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন করে সাজাতে হবে যাতে মানুষ তার পরিবর্তিত সময়ের সাথে যুক্ত হয়ে আনন্দের সাথে কাজ করতে পারে। আর খান প্রোপার্টিজ গ্রুপ সেই কাজটিই করছে।
প্রবাস মেলা: কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে হোটেল, রিসোর্টে কি ধরণের পরিবর্তন এনেছেন?
মাসুদুর খান: আমি সবসময় নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে আনন্দ পাই। যেটা আমাকে নতুন ইনটিগ্রিটির স্বীকৃতি দিবে। যেমন ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন ‘It is not what we profess but what we practice that gives us integrity’. তাই পেন্ডেমিক পরবর্তী সময়ে আমরা কিছু ইউনিক ডিজাইন কন্সেপ্ট নিয়ে এসেছি। যেমন হোটেলের রুমগুলো একটু প্রশস্ত হবে, ইনহাউজ জিমনেসিয়াম থাকবে, ওয়ার্ক স্টেশন থাকবে, রুমগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকবে। যাতে হোটেলে বসেই মানুষ যেন রিলাক্সে অফিসের কাজ করতে পারে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমি হোটেলগুলোতে বাসা-কাম অফিসের মতো করে একটা আবহ তৈরি করেছি। এপার্টমেন্টগুলোকেও আমরা ডাইভার্সিফাই করছি যাতে লোকজন বাসায় থেকেও অফিসের কাজ করতে পারে। আপাতত আমাদের ৪টি প্রজেক্ট প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে একটি রিসোর্ট আছে। একটা হিস্টোরিক্যাল বিল্ডিং নিয়েছি যেটার কাজ চলছে। আমরা এটাকে আধুনিক স্থাপত্যের সাথে হিস্ট্রিক্যাল ইমেজের সমন্বয় ঘটিয়ে এমনভাবে কাজ করছি যাতে পর্যটকরা বর্তমানে থেকেও ঐতিহাসিক কিছু ধারণাও পেতে পারে। আবার আমরা লোকজনকে ফরেস্ট এবং নেচারের মধ্যে কানেক্ট করাচ্ছি। কারণ পেন্ডেমিকের পরে লোকজন আগের মতো আর ক্রাউড পছন্দ করছেনা। এসব চিন্তা করে আমরা অনেকটা বনজঙ্গলের মধ্যে বেশ কিছু জায়গা কিনেছি এবং সেগুলো ডেভেলপ করছি যাতে মানুষ নেচার এবং ইকোফ্রেন্ডলি পরিবেশে নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারে।
প্রবাস মেলা: ফরেস্ট এবং নেচারের মধ্যে পর্যটকদের কিভাবে কানেক্ট করাচ্ছেন?
মাসুদুর খান: হ্যাঁ, আমাদের খান প্রোপার্টিজ গ্রুপ সম্পূর্ণ নতুন কিন্তু এক্সাইটিং একটি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এটা হলো আমাদের খান প্রোপার্টিজের ফার্মিং প্রজেক্ট। অরিগন শহরের পাশে ৮৪ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এ প্রজেক্ট আমার বাসা থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত। বর্তমানে আমরা ৮ একর জায়গাজুড়ে ১০০টি গ্রিণ হাউজ তৈরি করেছি যেগুলোতে প্রায় ৩৫০ প্রকারের ফুল উৎপাদন হচ্ছে। আগামীতে পুরো জায়গাজুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল, সবজি বাগান করবো। আধুনিক পার্কের মতো করে সাজাবো যেখানে বসার জায়গা থাকবে, ওয়াকওয়ে থাকবে যাতে মানুষ প্রকৃতির মাঝে আনন্দে কিছু সময় কাটাতে পারবে। এটা একটা বড় ধরনের কর্মযজ্ঞ হবে। এটাকে আমি ব্যবসা হিসাবে নিচ্ছিনা বরং শখের বশে এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। বর্তমানে এখানে ৩৫/৪০ জন লোক কাজ করছে। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। খরচ মিটিয়ে কোনভাবে সাসটেইন করতে পারলেই আমি খুশি।
প্রবাস মেলা: যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে ব্যবসা করার পরও বাংলাদেশে কেন ব্যবসা করতে এলেন? এ ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতাই বা কেমন?
মাসুদুর খান: বাংলাদেশ আমার জন্মস্থান। আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও দেশ প্রেম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিই এবং ২০১৯ সালে ঢাকার গুলশান-২ এ ‘ট্রপিক্যাল ডেইজি’ নামে একটি হোটেল চালু করি। কিন্তু হোটেল বিল্ডিং এর মালিক পক্ষের অসহযোগিতার কারণে হোটেলটি আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কিছু ইস্যুতে তাদের সাথে আমাদের দ্বিমত তৈরি হয়েছে। ফলে বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে। যাইহোক আমি যে টার্গেট নিয়ে এখানে ব্যবসা করতে এসেছি সেটা অনেকটা সফল হয়েছে বলে মনে করি। কারণ যখন আমি বাংলাদেশে ট্র্যাভেল করতে আসতাম তখন পর্যটন শিল্পে যে গ্যাপটা আমি লক্ষ্য করেছি তা অনেকটা পূরণ করতে পেরেছি। যেমন জব ক্রিয়েশন, বিনিয়োগের শুরু থেকেই সুনামের সাথে ব্যবসাকে লাভজনকভাবে পরিচালনা করতে পারা- এসবকে আমি অর্জন হিসেবে সুপার সাকসেস মনে করবো। কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের হোটেলকে নাম্বার ওয়ান পজিশনে উঠাতে পেরেছি। প্রচুর প্রথম শ্রেণীর পাঁচ তারকা মানের রিভিউ পেয়েছি গেস্ট এর কাছ থেকে। এগুলো আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। কিন্তু আমরা তা অর্জন করতে পেরেছি।
প্রবাস মেলা: বর্তমানে বাংলাদেশে নতুন আর কি প্রজেক্ট করছেন?
মাসুদুর খান: আমি বাংলাদেশে হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে ভূমিকা রাখতে চেয়েছি। সে প্রেক্ষিতে হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজি চালু করেছিলাম। কিন্তু ইন্সিডেন্টলি হোটেলটি বন্ধ হয়ে যায়। তবুও আমি দমে যাইনি। বরং এটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং নতুন কিছু করার প্রেরণা পেয়েছি। এক্ষেত্রে শেক্সপিয়ারের একটা কথা ধার করে বলতে চাই, To be, or not to be, that is the question; Whether it is nobler in the mind to suffer, The slings and arrows of outrageous fortune, Or to take arms against a sea of troubles; And by opposing end them. আমিও সে পথে হাঁটছি। একটা পজেটিভ ইন্টেনশন নিয়ে বর্তমানে নতুন একটা প্রজেক্ট আমরা শুরু করেছি। যশোরে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ এ যে হোটেল তৈরি হয়েছে সে হোটেলের কন্সালটেন্ট হিসেবে থার্ড পার্টি হয়ে আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এই হোটেলটির নাম দেয়া হয়েছে ‘যশোর আইটি পার্ক হোটেল’। ইতিমধ্যেই আমরা এই হোটেলটির Open House Ceremony অনুষ্ঠান করেছি। বিদেশে হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের প্রায় ১৮ বছর কাজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এ হোটেলটিকে বিশ্বমানের আধুনিক রিসোর্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠা করছি। এ হোটেলটির মাধ্যমে বিশ্বমানের সার্ভিস দিয়ে আমরা ভারতের কোলকাতাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পর্যটকদের কাছে যশোর তথা বাংলাদেশকে তুলো ধরবো যাতে আমরা প্রচুর রেমিট্যান্স আনতে পারি।
প্রবাস মেলা: ঢাকা ছেড়ে যশোরে ইনভেস্ট করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
মাসুদুর খান: একটা কথা বলতে চাই আমার জন্ম যশোরে ১৯৭২ সালে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় আমি মাতৃগর্ভে ছিলাম। যুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলোতে আমার মা অনেক কষ্ট করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছেন। বড় হয়ে সেসব গল্প শুনেছি। তাই যখনই শুনলাম যশোরে কাজ করতে হবে তখন আমি চোখ বন্ধ করে রাজি হয়ে গেলাম। বলতে পারেন যশোরে ইনভেস্ট করার ব্যাপারে অনেকটা নস্টালজিক ভাবনাও কাজ করেছে। আবার আমি যখন দেখলাম বিল্ডিংটাও খুব সুন্দর একে ডেভেলপ করলে অনেক রেমিট্যান্স আসবে, অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে এটাও বা কম কিসের? লাভ হোক লোকসান হোক একশ থেকে দেড়শো লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারাও অনেক আনন্দের বিষয়। আমি মনে করি নিজের জন্য ভাবনার পাশাপাশি মানুষের জন্যও ভাবতে হবে। এটা আমাদের মানবিক করে তোলে। রাশিয়ান বিখ্যাত লেখক লিও টলেস্টয় এর ভাষায় বলতে হয়- If you feel pain, you are alive, if you feel other people’s pain, you are a human being.
প্রবাস মেলা: বাংলাদেশের কর্মীদের সাথে আপনার কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
মাসুদুর খান: যুক্তরাষ্ট্রের মতো মাল্টিকালচারাল পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি বাংলাদেশের কর্মীরাও যথেষ্ট ভালো এবং কর্মঠ। তাদের যে ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স আছে তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি মনে করি তারা যদি সঠিক গাইডেন্স এবং মেন্টরশীপ পায় তারাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে খুব ভালো করবে। উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের কর্মীরাও আমাদের প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। প্রতিষ্ঠানকে ওন করার জন্য তাদেরকে অবশ্যই এমপাওয়ার করতে হবে। তাহলেই তো তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে লিডারশীপ অর্জন করতে পারবে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
প্রবাস মেলা: আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন।
মাসুদুর খান: এইতো, কাজ করে যাবো। ভালো কিছু করার স্বপ্নতো আছেই। নতুন কিছু করতে পারলে বেশি খুশি হই। তারপরও আমেরিকান কবি আমান্দা ব্রেডলি’র মতো বলতে চাই- Forget about the misfortunes you have encountered, But don’t forget the times your luck has turned… Forget about the plans that didn’t seem to work out right But do not forget to always have a dream.
প্রবাস মেলা: আপনাকে ধন্যবাদ।
মাসুদুর খান: প্রবাস মেলা’র জন্য অফুরান শুভেচ্ছা।