প্রবাস মেলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল নগরী নিউইয়র্ক সিটিতে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। প্রায় ৮০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে প্রথম দিকের ভোটার টার্নআউট উল্লেখযোগ্য। এরই মধ্যে ৭ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নিউইয়র্কের এই নির্বাচনেই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) এক দিনেই আগাম ভোট দেন ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ। তাছাড়া তরুণ ভোটারদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য, যাদের বয়স ৩৫ কিংবা তার চেয়ে কম।
এবারের নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি। সবশেষ চারবারের জরিপে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন তিনি। নির্বাচনের একদিন আগে, সমর্থকদের নিয়ে সিটি হলের উদ্দেশে হেঁটে যান তিনি। এদিন তার হাতে সাদা ও নীল ব্যানার দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল- আমাদের সময় এখন।
জানা গেছে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও আবাসন সংকট নিয়ে বিতর্কের ফলে নিউেইয়র্কের বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের সমর্থন কমে এসেছে।
৩৪ বছর বয়সী মামদানি প্রথম মুসলিম প্রার্থী হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন। তিনি আবাসন খাতের সংস্কার এবং জলবায়ু নীতির উপর জোর দিয়ে ক্যাম্পেইন চালিয়েছেন। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট ধারণায় বিশ্বাসী এই তরুণ প্রান্তিক এক প্রার্থী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের আলোচিত মুখে পরিণত হয়েছেন।
গত জুন মাসের দলীয় প্রার্থী বাঁছাইয়ের নির্বাচনে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। মামদানি আশা করছেন, আগেরবারের মতো এবারও তরুণ ভোটাররা তার পাশে থাকবেন।
এদিকে, শুধু নিউইয়র্কে নয়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবিলায় মামদানির অঙ্গীকার পুরো দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক জেন-জি ও মিলেনিয়ালস প্রজন্মের মানুষ বলছেন, তাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গাটিতে মূল গুরুত্ব দিয়েছেন মামদানি।
সূত্র: রয়টার্স।