প্রবাস মেলা ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ই-কমার্স লেনদেনে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চালু হচ্ছে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম (সিএলটিপি)।
এই সেবা চালু হলে ডেলিভারি নিশ্চিতকরণের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ই-কমার্স পণ্যের বিপরীতে মার্চেন্টের অনুকূলে অর্থ ছাড় হবে না। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ডাক ভবনে অনুষ্ঠিত এক নীতিনির্ধারণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এটুআই-এর তত্ত্বাবধানে সিএলটিপি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এর প্রাথমিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ডাক অধিদপ্তরকে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিএলটিপি থেকে ডেলিভারি নিশ্চিতের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ই-কমার্স পণ্যের বিলির বিপরীতে মার্চেন্টকে অর্থ ছাড় করা যাবে না। আগে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে পরিশোধ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে গ্রাহকদের ফোন করে ডেলিভারি যাচাই করতে হতো। কিন্তু সিএলটিপি চালু হলে এই ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া আর প্রয়োজন হবে না, বরং সকল লেনদেনে স্বয়ংক্রিয় ও নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্ল্যাটফর্মটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে এসক্রোতে আটকে থাকা অর্থ কোনোভাবেই একসঙ্গে উত্তোলন করা না যায় এবং প্রতিটি গ্রাহকের ঠিকানায় পণ্য বিলি নিশ্চিতের পরেই অর্থ ছাড় হয়। বিমান টিকিটের মতো ভার্চুয়াল পণ্য বিলির ক্ষেত্রেও গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সিএলটিপি একটি নির্দিষ্ট প্রসেস ফ্লো তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান সভাপতিত্ব করেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, আইসিটি বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কুরিয়ার সার্ভিস, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক ও পেমেন্ট গেটওয়ের প্রতিনিধি এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।