প্রবাস মেলা ডেস্ক: চার বছর পর বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে যাচ্ছে বাহরাইন। প্রথম দফায় ১৬১ জনকে ভিসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশে এসে আটকে পড়েছিলেন ওই ১৬১ জন। ৮ জুন ২০২২, বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাহরাইন সফররত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম।
অপ্রীতিকর কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় বাহরাইন সরকার। এরপর মহামারিকালে দেশে ফিরে আসেন আরও বেশ কিছু প্রবাসী। বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাহরাইন সরকারের ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ার পর সম্প্রতি ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের ফের নিবন্ধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে ৯৬৭ জন বাংলাদেশি ফেরার জন্য নিবন্ধন করেন। রাষ্ট্রদূত নজরুল বলেন, নিবন্ধিতদের ব্যাপারে মালিকপক্ষ বা নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মালিকপক্ষের সাড়া পাওয়ার ওপর ভিত্তি করে ১৬১ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে ভিজিট ভিসা ইস্যু করবে। বাইরাইনের যাওয়ার পর নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সেটাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর করে সেন্ট্রাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেশন (সিপিআর) করা যাবে।
প্রাথমিক তালিকায় থাকা ১৬১ জনের নাম-পরিচয় ফেসবুকে প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াও তুলে ধরেছে দূতাবাস। তাতে বলা হয়েছে, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বাহরাইন সরকারের ই-ভিসার ওয়েবসাইটে।
প্রথমে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে তালিকাভুক্ত কর্মী নিয়ে আবেদন করতে পারবেন না। তারপক্ষে স্পন্সর বা মালিককে আবেদন করতে হবে।
এরপর আবেদনের পর স্পন্সর বা মালিককে বাহরাইন সরকার থেকে পাওয়া ‘ই-ভিসা রেফারেন্স’ নম্বর দূতাবাসকে ইমেইলে (mission.manama@mofa.gov.bd) অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (+৯৭৩-৩৩৩৭৫১৫৫) জানাতে হবে। এরপর দূতাবাস ওই কর্মীকে ভিজিট ভিসা দিতে বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে।
মহামারির মধ্যে দেশে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা ফেরত যেতে নিবন্ধন করেছেন অথচ তালিকায় নেই; তাদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম বলেন, তারা নির্দিষ্ট সময়ে মালিকপক্ষ বা স্পন্সরের সম্মতির বিষয়ে দূতাবাসকে অবহিত করতে পারেননি। সে কারণে বড় অংশই তালিকার বাইরে। স্পন্সরের সম্মতি পেলে আমরা তাদেরকে ফেরানোর বিষয়েও বাহরাইন সরকারকে অনুরোধ করব।
কর্মীদের মধ্যে যারা ফ্যামিলি ভিসায় পরিবারের সদস্যদের নিতে চান, তাদেরকেও পরিবারের সদস্যদের নাম-পরিচয় ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে দূতাবাসের ইমেইলে আবেদন করার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত।