প্রবাস মেলা ডেস্ক: দেড় বছরের বেশি সময়ের মধ্যে চলতি মাসে সর্বনিম্নে নেমেছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭.৫ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৭২.৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বলছে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ভারতের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৫৬৮ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রুপি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট আছে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আমদানি ব্যয়, ঋণ পরিষেবার প্রয়োজনীয়তা এবং বহিঃপ্রবাহের কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহের প্রকৃত ঘাটতি রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেছেন, আরবিআইয়ের কাছে পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে এবং তা নিশ্চিত করতে বাজারে ডলার সরবরাহ করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান এমন এক সময় এসব মন্তব্য করলেন, যখন দেশটিতে গত কয়েক দিন ধরে ডলারের বিপরীতে রুপির দর পতনের নতুন রেকর্ড হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রুপির মান ডলারের বিপরীতে প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকদের মাঝে ডলারের জোরাল চাহিদার এটি একটি ফলাফল। ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শনিবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ভারতীয় রুপির মান ১০ পয়সা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে রুপির মান ছিল ৭৯ দশমিক ৯৫।
২০২০ সালের নভেম্বরে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৫৭২ বিলিয়ন ডলার ছিল। তারপর ২০২১ সালের অক্টোবরে তা বেড়ে ৬৪২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের অস্থিরতা রোধ করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করছে।