হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: অরলান্ডতে ১৪ আগস্ট ২০২২, রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বাঙালির মিলন কেন্দ্র আহমেদ রেস্টুরেন্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শোক, শ্রদ্ধা, দোয়া প্রার্থনায় বাঙালির মুক্তি চেতনার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে বিপুল সংখক দেশপ্রেমিক মানুষদের সমাগম ঘটে।
সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শেলীর সঞ্চালনে রাত ৮টায় সভার কাজ শুরু হয়। প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন জসীম উদ্দিন। পবিত্র কোরবান তেলওয়াতের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। অতঃপর বঙ্গবন্ধু, ১৫ আগস্টের শাহাদাত বরণকারী ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
![](https://www.probash-mela.com/wp-content/uploads/2022/08/298936548_1242274529856187_5293583097487140022_n.jpg)
আলোচনার প্রারম্ভে বাঙালির হৃদয় রক্তক্ষরণের চিত্র করিমুজ্জামানের উপস্থাপনায় তুলে ধরলে শোকের ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরী হয়। তারপরে শোকের অনল ছড়িয়ে বক্তব্য প্রদান রাখেন মহম্মদ নূর শাওন প্রজা, আজিজুর রহমান, শামসুস তোহা, জসীম উদ্দিন, করিমুজ্জামান। কি আত্মপ্রত্যয় নিয়ে সমগ্র জীবন লড়াই করে কষ্ট করে জীবনের স্তরে স্তরে বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের মুক্তির পঙতি স্বাধীনতা এনেছিলেন সেই ইতিহাস তুলে ধরে বক্তব্য দেন মাহবুবুর রহমান মিলন, আকম রুমেল হোসেন, আবেদ আমীর, শামসুর রহমান, সামু ইলিয়াস ঠাকুর, শাজাহান কাজী, কনক রেজা আলম। নবনী ও লিপির শোক গাঁথা কবিতা অশ্রুর ধারা বয়ে যায়। সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শেলীর বক্তব্যে বলেন, জাতি এখন কিছুটা হলেও বঙ্গবন্ধুর প্রতি ঋণমুক্তির চেষ্টা করে আলোর পথে, স্বাবলম্বীর পথে হাঁটছে। সভাপতির ভাষণে মোয়াজ্জেম ইকবাল বলেন, বঙ্গবন্ধু এখন জীবিতদের চেয়ে অধিক জীবিত। তাঁর অবিনাশী আদর্শ চিরপ্রবহমান থাকবে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মাঝে। তিনি ছিলেন বলে আজ আমাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে প্রবাসীদের, কর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
![](https://www.probash-mela.com/wp-content/uploads/2022/08/011.jpg)
আলোচনা শেষে গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তার পর জসীম উদ্দীন মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সকল শহীদান, বাংলায় সর্বকালে স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং একাত্তুরের বীর শহীদানদের আত্মার শান্তি কামনায় খোদার দরবারে হাত তুলে দোয়া করেন। সর্বশেষে ভাত মাংস, ডাল, সালাদ দিয়ে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়ন করা হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানের ছিলেন শামসুস তোহা মাইনুল, শাজাহান কাজী, মেহেদী মনিরুল ইসলাম, জিহাদ রানা। অতঃপর শোকানুষ্ঠান পর্বের সমাপ্তি ঘটে।