মো: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়: ১১ জুলাই ২০১৮ বুধবার খার্তুম সুদানের অনাবাদী উর্বর জমিতে তুলা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া সুদানের স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ ও সাগর থেকে মৎস্য আহরণের লক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে আলোচনার লক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সুদানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সুদানের প্রানিসম্পদ মন্ত্রী বুশারা গুমা আরর, সুদানের চেম্বার অব কমার্স এর মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ আবু তালেব ও ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে গত ৮ ও ৯ জুলাই কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হন।
এ সময় সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান ও দ্বিতীয় সচিব মোঃ বশির উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১৯ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুদানের লোকসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৭০ লক্ষ। সুদানে প্রবাহমান সাদা ও নীল নদের কারনে এখানের ভূমি খুবই উর্বর, যা চাষাবাদ ও পশু পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণেও রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। এখানে চীন আবাদি জমি দীর্ঘ মেয়াদে লিজ নেয়ার মাধ্যমে তুলা চাষ করে থাকে।
সুদানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ৯ জুলাই সুদানের প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বুশারা গুমা আরর এর সাথে এ বিষয়ে বৈঠকে মিলিত হন। এছাড়া তিনি একই মন্ত্রণালয়ের
আন্ডার সেক্রেটারি ড কামাল এর সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত সুদানে নীল নদের পাশে দীর্ঘ মেয়াদে জমি লিজ নিয়ে তুলা ও পশুসম্পদ পালনের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। কৃষি খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি সুদানের স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ, সামুদ্রিক মৎস্য আহরন, মৎস্য প্রক্রিয়াজাত করন ও বিপননের বিষয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এ সকল খাতে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগের ফলে সুদানের এ সকল খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যাতে দু দেশই লাভবান হবে।
এছাড়া মৎস্য খাতে সুদানের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে সুদান থেকে বাংলাদেশ তুলা আমদানি করে থাকে ও সুদান বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করে।
এর আগে গত ৮ জুলাই রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সুদানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম মাহমুদ হামিদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইদ্রিস এর সাথে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। এসময় সুদানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সুদানের কারাগারে কোন বাংলাদেশি শ্রমিক বন্দী নেই। বৈঠক কালে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন আগামি দিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।