জুলি রহমান, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র:
এক অখন্ড বাংলাদেশ যেনো উঠে এসেছিলো নিউইয়র্কের বেলোজিনো ও পিএইচ সিক্সটি নাইনের গতর জুড়ে। বাংলার লেখক কবি সাহিত্যিক প্রকাশকগণ নিউইউর্কের বইমেলাকে প্রাণবন্ত রুপ দিয়েছেন।
বেলোজিনেত উদোম মাঠে ঢোল তবলার প্রাণ চঞ্চল করা বাদ্য যন্ত্র সহকারে কাব্য কথার পঙতিমালা। প্রকাশক লেখকদের হৃদয় উজার করা কথা । সাক্ষাতকার লেখক পিরচিতি। আড্ডা একসারিতে বসে। যেনো কতো জনমের না বলা কথার ঢেউ বাতাসে বাতাসে মিশে খুনসুটি।মাঝে মাঝে ট্রেনের গতি জানান দিয়ে যায় আমিও আছি তোমাদের সাথে।
বেলোজিনো হল কানায় কানায় পূর্ণ। লোকে লোকারণ্য। শুরু হলো গান নাচ সুর সংগীত । বাইরে চলছে খুশ গল্প।ছবি তোলা সেলফি তোলা। আকাশে শুকলা পক্ষের চাঁদ।ইলশেগুরি বৃষ্টি। কেউ নড়ছে না তবু । পাত্তা না পেয়ে বৃষ্টিই চলে গেলো অগত্যা।
বই মেলার দ্বিতীয় দিন। পি এইচ সিক্সটি নাইনের প্রশস্ত বুক জুড়ে বসে গ্যাছে রকমারী পশরা। পতপত করে উড়ছে আমেরিকান ও বাংলাদেশি পতাকা। ভিতরে রকমারী বইয়ের স্টল। বাতাসের কোষে কোষে মৌ মৌ গন্ধ নতুন বইয়ের। সুশীল রমনীকুল উড়াচ্ছে শাড়ির আঁচল। কিশোরীর চুল। যুবক যুবতীদের ভীড় কম নয়। শিশুদের স্টল জুড়ে ছড়ার বই। ছড়া থেকে শুরু করে ইংরেজী সাহিত্যের গল্প কবিতা উপন্যাস। কালজয়ী লেখকদের বই নিয়ে বাংলাদেশি প্রকাশকদের স্টলগুলো থরে থরে সাজানো। প্রবাসী
আবাসী বলে আলাদা কিছু ছিলনা এবার।
অনতি দূরে রকমারী খাবার স্টল। বন্ধুদের রস চটুল কথার ভেতর দিয়ে উদরপূর্তির ব্যাপারটাও বেশ হৃদয়গ্রাহী। লেখক কুন্জ! হ্যা এবারের লেখক কুন্জটা সত্যিই বাংলাদেশটা ছাড়িয়ে গ্যাছে। লেখক কুন্জে কবিতা গল্পের হিরিক পড়ে গেলো।ওদিকে মূল মঞ্চে হচ্ছে লেখক পাঠক প্রকাশকদের পরিচিত সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার উপাদেয় বিষয়। নাটিকা,শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে মন্চ কাঁপানো নাটক। চলছে স্বাধীনতার উপর নৃত্য।বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের গান।প্রবাসী শিল্পীদের গান।ডায়াসপরা সাহিত্যালোচনা।বই ও লেখক পরিচিত।কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের মূল্যবান বক্তব্য।
স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের সম্মাননা ও পুরষ্কার গ্রহণ। রামেন্দ্র মজুমারকে সন্মাননা। প্রয়াত কবি রফিক আজাদ স্মরণে অনুষ্ঠান। বইমেলার এক প্রাণবন্ত দিক।
ফিরতেই হয় লেখক কুন্জে। তিন দিনের বই মেলায় মূল মঞ্চে দৌড়ে দৌড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা এবং দেখা থেকে শুরু করে যে অস্থির প্রাণবন্ত সময় গেলো। এ ছিলো পরম তৃপ্তির। আনন্দের। তেমনি ছিলো লেখক কুন্জের আনন্দ উৎসব। দেশ ওবিদেশের লেখকগণ সহ আড্ডা। স্বরচিত কবিতা; আবৃত্তি । গল্পকথা, রসচটুল চুটকী। বহুদিনের অদেখা বন্ধুটির ও দেখা মিল্লো এই কুন্জে।নিউইয়র্ক বইমেলা প্রাণের মেলা। সবাই সুখের এক অনাবিল ঢেকুর তুলেই ঘরে ফিরলেন।
বাংলদেশ থেকে আগত লেখকগণ প্রকাশকগণ সহ তিন ঘন্টার নৌবিহারের ও আয়োজন করেন বিশ্বজিত।মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের নিখুঁত নিভাঁজ পরিপাটী আয়োজন বইমেলাটি এবার সকলের হৃদয়কে স্পর্শ করে গ্যাছে। এতে যারা যারা কাজ করেছেন সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছেন। তাদের জানাই হৃদয়ের উষ্ণতা। কিন্তু তাই বলে তাদের পরিচিত থাকবে না?
ডঃ নূরুন নবী।ফাহিম রেজা নূর; হাসান ফেরদৌস, নিনি ওয়াহেদ, শ্যামন্তী ,ঊর্বী আরো অনেকে। এদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বইমেলা প্রতিবার প্রাণ পেলেও এবার যেনো একটু বেশীই পেলো।মুক্তধারা এবং বিশ্বজিত একটা দীঘল হস্ত।