সৈয়দ এম হোসেন বাবু, লস এঞ্জেলস, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ৩ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার লস এঞ্জেলস লিটল বাংলাদেশ সংলগ্ন বাংলাদেশ একাডেমীর অনুপমা রিয়া অডিটোরিয়মে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগ বিন্ম্র শ্রদ্ধায় পালন করলো জেল হত্যা দিবসের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টি জাহান কাজল।
মানবতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি জঘন্য ও নৃশংসতম দিন ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে রাতের অন্ধকারে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা, দেশি-বিদেশি দোসরদের সহযোগিতায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আড়াই মাস পর খুনিচক্রকে ক্ষমতার আসনে প্রসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের নির্দেশে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় রাতের অন্ধকারে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, আজ এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশে এবং বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা জন্য সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি আলম বলেন, জনগণের কাছে উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে হবে যাতে জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের ভোটদিয়ে নির্বাচিত করে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার সংগ্রামকে অব্যাহত রাখে।
বালা’র প্রসিডেন্ট সৈয়দ এম হোসেন বাবু বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্যতম ও বেদনাবিধুর একটি অধ্যায়। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাংঙ্খিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে এই দিনটি অন্যতম।বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরীণ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি ও উপদেষ্টা সোহেল রহমান বাদল বলেন, আজ ৩ নভেম্বর। শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর একটি দিন। এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব।
যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি। আরও বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নাজমুল চৌধুরী, সিটি আওয়ামী লিগ মাহাতাব উদ্দিন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহম্মেদ পারিস, শ্রম সম্পাদক এম ডি ফরাদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার আহম্মেদ, যুবলীগ সহ সভাপতি আজি মো: হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান রুবেল, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সোহেল ইসলাম, যুবলীগ সহ সম্পাদক জয়, আফরজ, জাহিদ ফয়সাল, জয়নুল হাসান, শেখ হাবিবুল্লাহ, সামসুদদিন পনির প্রমুখ। বীর মুক্তিযাদ্ধা আলাউদ্দিন আলী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।