প্রবাস মেলা ডেস্ক: কবিকুঞ্জ আয়োজিত ৮ম জীবনানন্দ কবিতা মেলা ২০১৯ বিভাগীয় শহর রাজশাহী শাহ্ মখদুম কলেজ প্রাঙ্গণে ২২-২৩ নভেম্বর সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়।মেলায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
৮ম জীবনানন্দ কবিতা মেলা’র উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি মাকিদ হায়দার। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধনের সময় জাতীয় ও কবিকুঞ্জ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দু’দিন ব্যাপী আয়োজনে ছিলো বক্তব্য প্রদান, স্বরচিত কবিতা পাঠ, দলীয় আবৃত্তি, জীবনানন্দের জীবন ও তাঁর সাহিত্যের উপর আলোচনা প্রভৃতি।
সুমহান শব্দের কবি সমাজতত্ত্ব মূলক হেলালগীতি’র রচয়িতা নজমুল হেলাল এবার রাজশাহীতে জীবনানন্দ মেলায় আমন্ত্রিত কবি হিসেবে প্রথম দিন শেষ পর্বে বক্তব্য প্রদান ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য এরকম সাহিত্য -সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘন ঘন করা উচিৎ’।কবি শফিকুল আলম শফিকের সভাপতিত্বে বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি নজমুল হেলালকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি সুফিয়া খাতুন।
উল্লেখ্য, কবি নজমুল হেলাল ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাংলা সাহিত্যের নানা শাখায় বিরামহীন চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের নানা প্রতিষ্ঠান থেকে কবি নজমুল হেলাল বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় সংবর্ধনা সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য একক কাব্যগ্রন্থ “ভালবাসলেই খোঁজ রাখতে হয়”( ১৯৯৭)।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের উপস্থিতিতে তাঁরই বাহাত্তরতম শুভ জন্মদিনের জাতীয় অনুষ্ঠানে ঢাকায় শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় সভাপতিত্ব করার সৌভাগ্য অর্জন করেন কবি নজমুল হেলাল। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য কবি নজমুল হেলালকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণপদক প্রদান করে ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব এর ভিআইপি লাউঞ্জে একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ বাংলাদেশ, ঢাকা।