প্রবাস মেলা ডেস্ক: ইরানে ছয় বছর আটক থাকা ব্রিটিশ নাগরিক নাজানিন জাঘারি রেডক্লিফের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ১৩ মে ২০২২, শুক্রবার লন্ডন সময় বেলা ১টায় প্রধানমন্ত্রীর ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে তাদের দেখা হয়। বরিস জনসনের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণত বিরোধী দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ পান না। বরিসের সঙ্গে বৈঠকে নাজানিনকে এতদিন কেন ফেরত আনা হয়নি, ইরানে আটক আর এক ব্রিটিশ মুরাদকে ছাড়ার ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ গ্রহণ করবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
বরিসের আমন্ত্রণে কিলবার্ন ও হ্যাম্পস্ট্যাডের লেবার এমপি ব্রিটিশ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও ছিলেন নাজানিনের স্বামী রিচার্ড রেডক্লিফ, সাত বছরের কন্যা গ্যাব্রিয়ালা রেডক্লিফ।
উল্লেখ্য, ইরান সরকার ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল যখন নাজানিনকে আটক করে, তখন তার আসনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নাজানিনকে মুক্ত করতে আন্দোলনে নামেন। টিউলিপ নিয়মিত নাজানিনের মুক্তির জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ও ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য, যা ব্রিটেনজুড়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে।
দীর্ঘ আন্দোলন, কূটনৈতিক যুদ্ধ ইত্যাদির কারণে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ নাজানিনকে মুক্তি দেয় ইরান। গত ১৭ মার্চ নাজানিন ফিরে আসেন লন্ডনে। নাজানিনের পরিবারও টিউলিপ সিদ্দিক এমপির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে টিউলিপের এমন উদ্যোগ লেবার নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের কাছেও বেশ প্রশংসিত হয়।
১৩ মে নাজানিনের সঙ্গে সাক্ষাতে বরিস জনসন নাজানিনের পরিবারের খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক এমপিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তার কাজের জন্য। টিউলিপ সিদ্দিক এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় বরিস জনসন তাদের ডাউনিং স্ট্রিট ঘুরে দেখান।
উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে ট্রেজারির দায়িত্বে আছেন। কিলবার্ন ও হ্যাম্পস্ট্যাড আসন থেকে পরপর দুবার নির্বাচিত এমপি তিনি।