রফিক আহমদ খান, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া: কুয়ালালামপুরে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগ। রোববার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের হোটেল গ্র্যান্ড প্যাসিফিকের বলরুমে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়।
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অহিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম খোকন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কামাল হোসেন চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ বাদল।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, হুমায়ুন কবির আমির, আলমগীর হুসাইন , প্রকৌশলী রাহাদ উজ্জামান, শাখাওয়াত হোসেন, সোহেল বিন রানা, আব্দুল বাতেন, আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগ বুকিতবিনতাং শাখার সভাপতি লাল্টু মিয়া, পিজে শাখার সাধারন সম্পাদক ইমাম হোসেন, রাওয়াং শাখার সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির, কাজাং শাখার রঞ্জন ভৌমিক, বাতুকেভ শাখার আরমান হোসেন, সুংগাইবুলুর আহ্বায়ক ওসমান, সেনতুলের আলমগীর, শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এস কে আরমান, রোহান আহমেদ শামীম প্রমুখ।
সভায় বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম খোকন সংগ্রাম ও সাফল্যের গৌরবময় ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানান। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বমূহুর্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার যে অসাধারন প্রবাসী বান্ধব বাজেট ঘোষনা করেছেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনা কে ধন্যবাদ জানান। প্রবাসীদের দুর্দশা লাগবে সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে আরো পদক্ষেপ গ্রহন করার আহবান জানান তিনি।
সভায় আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা, মুক্তিযুদ্ধ, ও বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন আমিনুল ইসলাম। উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে যে সক্ষমতা অর্জন করেছে তার কৃতিত্ব বাংলার প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি জননেত্রী শেখহাসিনার অবদানকে অকপটে স্বীকার করেন। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকল প্রকার গ্রুপিং বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
সভা শেষে কেক কাটার মাধ্যমে সম্মিলিত ভাবে জয় বাংলার স্লোগানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপভোগ