বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও শহীদদের সম্মানে নিরবতা পালনের মাধ্যমে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে সংগঠনের প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাতুল বড়ুয়া, প্রাক্তন সভাপতি সৌমেন্দু বড়ুয়া, প্রাক্তন সভাপতি শিমুল বড়ুয়া, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সুহাস বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা রাজু বড়ুয়া, সদস্য রনি তালুকদার, সবুজ বড়ুয়া এবং উজ্জ্বল বড়ুয়া।
বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশের বৌদ্ধরা সংখ্যায় অত্যন্ত কম হলেও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রতিটি বৌদ্ধ পরিবারের ত্যাগ ও অবদান রয়েছে অপরিসীম। আড়াই হাজার বছরের অধিক সময় কাল ধরে বৌদ্ধরা বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডে বংশ পরম্পরায় বাঙালি কিংবা বাংলাদেশি বৌদ্ধ হিসাবে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডে বৌদ্ধরাই সুপ্রাচীন কাল থেকে বাংলাভাষা, বাংলা সাহিত্য, শিবংল্প এবং সংস্কৃতি প্রবর্তন এ চর্চা করে আসছে। কালের বিপর্যয়ে বৌদ্ধরা সংখ্যা লঘু হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধে আদি বাঙালি এই বৌদ্ধরা মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরে।
বক্তাগণ আরও বলেন, বাংলাদেশের হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শন গুলোকে ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে বিচার না করে তা প্রাচীন বাংলার স্থাপত্য শিল্প ও সংস্কৃতি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। তাই বাংলাদেশের প্রাচীন নিদর্শন সমূহের সন্ধান করে তা সংরক্ষণের জন্য সরকার ও সকল মহলের প্রতি আবেদন জানান।
বক্তাগণ স্বাধীনতার স্থপতি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্য-সদস্যাদের ত্যাগের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
উপস্থিত সদস্যরা কেক কেটে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের আনন্দ উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নৈশ ভোজ।