প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করা চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার বলেছেন, ‘বৈধ-অবৈধ নয়, শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। এখানে আমি শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করছি। কোনো অকল্যাণ করছি না।’ আপিল বিভাগে মামলার শুনানির দিন নির্ধারণের পর ২৩ মে ২০২২, সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিপুণ এ মন্তব্য করেন।
নিপুণ আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি হচ্ছে শিল্পীদের সমিতি। তাই আমি তাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এবারের ঈদে শিল্পীরা বোনাস পেয়েছেন। ঈদের খাদ্যসামগ্রীও কিন্তু পেয়েছেন, তাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বৈশাখের উপহারও আমরা পাঠিয়েছি শিল্পীদের বাসায়। আমি বলব, আমার কাছে শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষাই বড় কথা।’
এর আগে গত ১৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে কঠোরভাবে পালন করতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
গত ৮ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসায় নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান। অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানির জন্য আগামী ৫ জুন দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। অন্যদিকে নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। ভোটারদের রায় মেনে নেননি নিপুণ। আপিল করেন আপিল বোর্ডে। পাশাপাশি জায়েদ খানের নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তার মধ্যে অন্যতম–‘নোট’ দিয়ে ভোট কিনেছেন জায়েদ খান।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর শপথ নেন নিপুণ। এতে আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান।
জায়েদ প্রার্থিতা ফেরত পেলে আবারও আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার আপিল করলে জায়েদ ফিরে পান পদ। কিন্তু উচ্চ আদালতে আবারও আপিল করেন নিপুণ। সেই আপিলের রায় এখনো হয়নি, যা নিয়ে দুই প্যানেলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।