শেখ এহছানুল হক খোকন, কুয়েত সিটি, কুয়ত:
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড আকাশে শান্তির নীড় যা বাংলাদেশিদের জন্য গর্বের কারন এটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে ভ্রমণ করতে প্রবল ইচ্ছা শক্তি কাজ করে বাংলাদশের প্রায় সকল নাগরিকের। তবে সবচেয়ে বেশী আনন্দ বোধ করে মধ্য প্রাচ্যের প্রবাসীরা।
কুয়েতে রয়েছে বিশাল শ্রমজীবী মানুষ যাদের সংখ্যা প্রায় তিন লাখের অধিক। তারা যেমনি ভালোবাসে দেশকে তেমনি ভালোবাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে আর তাইতো তারা বিমানে চড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধে ছুটে যায় বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোতে। যাদের ভীর চোখে পরার মত, তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় নানা সমস্যার কথা, যেমন: সিডিউল বিপর্যয় আর এয়ারপোর্টে ভোগান্তির কথা। তবুও তারা দেশে যেতে বিমানে চড়েই আসা যাওয়া করতে চান। এ বিষয়ে ট্রাভেলস এজেন্সির অনেকের সাথে কথা হয়, তারাও জানান বাংলাদেশি পেসেঞ্জারে বিমানে যেতে ইচ্ছুক আর যে সমস্ত শ্রমিক এখানে আসে তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নিতে ভুল করে না। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় বা বোয়িং জাহাজ এর যে সমস্যা সেটার সমাধান জরুরি। সেক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারকেই এর সমাধান খুঁজে বের করে সেবা এবং বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
বিমান কর্মকর্তাদের মতে, সৃষ্ট সমস্যা যেমন রয়েছে, রয়েছে অনেকটা দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা ও। বাংলাদেশি প্রবাসীরা যারা ট্রাভেল করেন বিমানে তাদের থেকেও সৃষ্ট কিছু সমস্যা পোহাতে হয় তার জন্যও অনেক আয় কমে যায়, যেমন একটি টিকিটে একজন পেসেঞ্জার নির্দিষ্ট মালপত্রের বাইরেও (৫০কেজি মালপত্র পায় বুকিং,৭কেজি হাতে এরপরও আবারডিউটি ফ্রি থেকে) আরো ১০ থেকে ২০ কেজি মাল হাতে কেরি করে বিমানে ওঠে, তাতে বিমানে লোড যেমন বৃদ্ধি করে ঝুঁকিতে পরার সম্ভাবনা থাকে, পাশাপাশি বিমান কার্গো আয় থেকেও বঞ্চিত হয় আর এয়ারবাসের সীমাবদ্ধতা তো আছেই। সব মিলিয়ে কর্তৃপক্ষ ও পেসেঞ্জার সবাইকে সচেতন হতে হবে, তবেই সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে আস্তে আস্তে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে অনেকে মনে করেন।
বিশেষ করে প্রবাস আর প্রবাসী বাংলাদেশি যারা বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে,দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখেই চলে তাদের জীবন জীবিকা আর পথচলা তা সত্যিই কষ্টের, কিন্ত তাদের চাহিদা অনুযায়ীসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক সেবা ও চাহিদা পুরনে কার্যকরী ভূমিকা নিতে অনেকটা ব্যর্থ। কুয়েত প্রবাসী অনেকেই বিমানে যান কিন্তু তারা শিকার হন সিডিউল বিপর্যয়ের মুখে আবার মেয়াদ সংযোগ নিতে এসে সুবিধা পেলে গুনতে হয় অধিক টাকা। আবার এখানে যারা বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন তাদের টেনশনের শেষ নাই কারন ছুটি শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানিতে কাজে যোগ দিতে পারেনা সেখানেও ভোগান্তির শেষ নেই। আছে এয়ারপোর্টে হয়রানি যদিও এখন অনেকটা লাঘোব হয়েছে কিন্ত ফ্লাইট ডিলে সহ অনেকগুলো সমস্যা থেকে গেছে। বিশেষ করে হজ্জ মৌসুমে কুয়েতে বিমানের সিট বা এয়ারবাস না থাকায় বিমানে যেতে পারেন না প্রবাসীরা । তাই সরকার, বিমান মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসকল সমস্যার আশু সমাধান হবেসেটাই প্রত্যাশা করেন কুয়েত প্রবাসীরা।