প্রবাস মেলা ডেস্ক: আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পাক্ষিক প্রবাস মেলা অফিসে এসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক, জাতীয়বাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান। ১১ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রবাস মেলা’র মিডিয়া-কর্মীদের সাথে তিনি চা-চক্রে অংশ নিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন ও দেশের বর্তমান রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাবেক এই সংসদ সদস্যের হাতে প্রবাস মেলা’র পক্ষ থেকে ‘সম্মাননা স্মারক’ হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
হেলেন জেরিন খানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেবার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রবাস মেলা’র সম্পাদক শরীফ মুহম্মদ রাশেদ, ব্যবসায়ী শরীফ মোহাম্মদ ওমর খালেদ সবুজ, বিশিষ্ট কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব ও সঙ্গীতশিল্পী ইঞ্জিনিয়ার ফখরুজ্জামান, কলাবাগান থানা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকাস্থ ফরিদপুর সমিতি’র সভাপতি এসএম রহমাতুল্লাহ্, প্রবাস মেলা’র রিপোর্টার আশরাফ মাসুদ, প্রবাস মেলা’র উপদেষ্টা মামুন ইমতিয়াজ, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বদরুন্নেছা কলেজের সাবেক ছাত্র নেত্রী শিল্পী রেজা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক ললিতা গুলশান (মিতা), শের-ই-বাংলা নগর থানা বিএনপি’র সেক্রেটারী তাসলিমা আক্তার খাঁন (চিনু), কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা খাতুন (কল্পনা), মুন্সীগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি পাপিয়া ইসলাম, আশুলিয়া থানা বিএনপি’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালমা ইসলাম বিনু, মাদারীপুর জেলা মহিলা দল এর সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মুনমুন আক্তার, ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এর পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শারমীন আক্তার (মুন্নী) এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির মানব উন্নয়ন সম্পাদক ও ইডেন কলেজের সাবেক নেত্রী খন্দকার ফরহানা ইয়াসমীন আতিকা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির রাজনীতিতে একজন পরিচিত ও সম্মানিত নাম হেলেন জেরিন খান। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির নানা পর্যায়ে সক্রিয় থেকে তিনি একাধারে সংসদ সদস্য, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, জাতীয়বাদী মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি ১৯৮৪ সালে মাদারীপুরের চরমুগরিয়া গার্লস হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৬ সালে চর মুগরিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ইডেন কলেজে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচারে অনার্স সম্পন্ন করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনীতির প্রতি আগ্রহ তার পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই জন্ম নেয়। তার বাবা আবদুল লতিফ খান ছিলেন মাদারীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং চাচা ও ভাইসহ পরিবারের অনেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই বক্তৃতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নেতৃত্বের অভ্যাস গড়ে তোলেন হেলেন।
১৯৮৬ সালে ইডেন কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন এবং ১৯৯১ সালে বিপুল ভোটে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের সদস্যসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সরাসরি বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন পুত্র ও কন্যা সন্তানের জননী। স্বামী হোসাইন মো. কাওসার একজন ব্যবসায়ী। ছেলে ও মেয়ে দু’জনই যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত আছে। তার ভাই ডা. ওয়ালি খান ও বোন লুবনা জেসমিন পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।