প্রবাস মেলা ডেস্ক: প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও দ্রুত বিচারের দাবীতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব এর সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবাসীদের জান-মালের নিরাপত্তা ও সিলেটের ওসমানী নগরের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারকে বিষ প্রয়োগে (অভিযোগ) হত্যার প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানানো হয় উল্লেখ্য মৃত্য রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার মৃত্য ছোট প্রতিবন্ধী ছেলে মাইকেল ইসলাম (১৮) সহ পরিবারের ৫ সদস্য সবাই ব্রিটিশ নাগরিক। মূলত সিলেটের ওসমানী নগরের দয়ামীর ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিবারটি গত মাসের শুরুতে বাংলাদেশ গিয়েছিল কিছু দিন রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করার পর ১৮ জুলাই সিলেটের ওসমানী নগর তাজপুর বাজারে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে উঠেন। একই ভবনে থাকতেন নিহত রফিকুল ইসলামের শশুড় বাড়ির লোকজন। সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারি গত ২৬ জুলাই ২০২২ সকাল ১০টা থেকে ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে তাদের আত্মীয় স্বজন ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে না পারায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় দরজা খুলে ভিতরে পরিবারের ৫সদস্য সবাইকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবা ও ছোট ছেলেকে মৃত্য ঘোষণা করেন। মা, বড় ছেলে ও মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিলেট জেলা পুলিশ অফিসার হত্যার মূল কারণ বিষ প্রয়োগ (ধারণা) বলে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাকুরি, আয়-রোজগারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দেশে, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনের সুখ ও জীবন চলার পথকে সুগম করতে সহযোগিতা করা। সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প, কৃষি ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা। অথচ দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য যে, প্রবাসীরা আজ নানাভাবে নিজ মাতৃভূমিতে অত্যাচারিত, অবহেলিত ও নিগৃহীত। বিমান বন্দর থেকে শুরু করে নিজ আত্মীয় স্বজনের মাঝে নিপীড়িত। এই নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ দেশের উন্নয়নের এই চালিকাশক্তি রেমিটেন্সযোদ্ধাদের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রীয় কোন আইন না থাকা, বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘায়ন ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। এজন্যই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা প্রবাসীদের কয়েক দফা দাবি দেশের প্রশাসন ও সরকারের কাছে পৌঁছাতে চাই।
(১) নিহত রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের মৃত্যুর মূল কারণ দ্রুত উদঘাটন ও দ্রুত ট্রাইবুনালে তার বিচার করতে হবে।
(২) জেলা পর্যায়ে প্রবাসী সেলকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ এর দাবী দাওয়া নিয়ে নিয়মিত বৈঠক চাই। প্রশাসন মাসিক ও নিয়মিত বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩) প্রবাসীদের প্রত্যেকটি অভিযোগ দ্রুত নিরসনে একটি প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল বা আদালত গঠন করতে হবে।