প্রবাস মেলা ডেস্ক: সম্প্রতি প্রবাস মেলা অফিসে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম। প্রবাস মেলা’র কর্মীদের সঙ্গে তিনি চা-চক্রে অংশ নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন। আলোচনার এক ফাঁকে ‘সুপ্রভাত সিডনি’র প্রধান সম্পাদকের হাতে প্রবাস মেলা’র সৌজন্য কপি তুলে দেন পত্রিকাটির সম্পাদক শরিফ মুহম্মদ রাশেদ।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম ১৯৮৮ সালে ঢাকা থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯০ সালে জাপানের টোকিও থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, জাপানী, উর্দু এবং হিন্দিতে সাবলিল ভাষায় কথা বলতে পারেন। জাপানের বৃহত্তম মানবাধিকার সংস্থা এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির কাউন্সিলর ছিলেন শামীম। এছাড়া জিয়া পরিষদ জাপানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর জাপানে পড়াশোনার পর ইউসুফ ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। তিনি অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বাংলা সংবাদপত্র ‘সুপ্রভাত সিডনি’র প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কমিউনিটি লিডারশিপ
আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক কমিউনিটি ইয়ুথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইনকর্পোরেটেডের প্রেসিডেন্ট এবং এসএসটিভি অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সিডনি প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিল ইনকর্পোরেটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সিটিজেনস অব অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেটেডের বাংলাদেশি শরণার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। সংগঠনটি অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে।
পুরস্কার
প্রবাসে সাংবাদিকতা ও কমিউনিটিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি থেকে একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তার মধ্যে অন্যতম হলো, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘মিডিয়া ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সংবাদপত্র এএমইউএসটি থেকে বিশেষ সম্মাননা, ২০২০ সালে কোভিড চলাকালে একটি নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান এমপি ‘টনি বার্ক’ থেকে সনদপত্র, একই বছর কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য ক্যান্টারবেরি-ব্যাঙ্কসটাউনের মেয়র সিএলআর খাল আসফোর থেকে কমিউনিটি সাপোর্ট অ্যাপ্রিসিয়েশন সার্টিফিকেট লাভ করেন।
এছাড়া তিনি ২০২২ সালে মাল্টিকালচারাল ঈদ ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড ফেয়ারে (এমইএপএফ) সেরা কমিউনিটি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের (বিআইসি) আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, সামাজিক ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘আমরা বাংলাদেশি (এবি) অ্যাওয়ার্ড’, কমিউনিটি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সেরা কমিউনিটি নিউজপেপার অ্যাওয়ার্ড, ‘ওয়াক ফর রেসপেক্ট’ এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের এমপি টনি বার্কের অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।