মার্ক রায়, তুলুজ, ফ্রান্স প্রতিনিধি: যুক্তরাজ্যের ‘ফর্মুলা রেসিং’এ যাচ্ছে তরুণ উদ্ভাবকদের গাড়ি। জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাড়ি দৌড় প্রতিযোগীতা ‘ফর্মুলা স্টুডেন্ট ইউকে-২০১৯’। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে এক ঝাঁক মেধাবী তরুণদের উদ্ভাবনে নতুন প্রযুক্তির গাড়ি।
আগামী ১৭ থেকে ২১ জুলাই যুক্তরাজ্যে এ রেসিং অনুষ্ঠিত হবে। ফর্মুলা রেসিং এ এই প্রথম বাংলাদেশের তরুণদের কোন উদ্ভাবন অংশ নিতে যাচ্ছে। যে গাড়িটি এই রেসিং এ অংশ নিবে সেই গাড়িটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে।
আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম প্রাইমাস’ নামের তরুণ উদ্ভাবনী দল এ গাড়িটি নির্মাণ করেন। গাড়িটি ৬০০ সিসি ইঞ্জিন এবং দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটি তৈরী করতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে গাড়িটিকে আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাঠাতে হবে। যার সম্ভাব্য খরচ পড়বে ১৪ থেকে ২০ লক্ষ টাকা।
গাড়িটিকে যুক্তরাজ্যে পাঠাতে যে খরচ হবে তা এই শিক্ষার্থী তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য অসহনীয় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেসিং এ গাড়িটিকে ঠিকঠাকভাবে উপস্থাপন করা গেলে বাংলাদেশের অবস্থান প্রযুক্তিতে আলাদা মাত্রা যোগ করতো বলে মনে করেন উদ্ভাবকরা।
এ গাড়ির উদ্ভাবক ও টিম প্রাইমাসের সদস্য মেহেদী ও ম্যাক রোজারিও জানান, এ ধরনের প্রতিযোগীতা বাংলাদেশের অটোমোবাইল প্রযুক্তিকে উপরে উঠতে সহায়তা করবে।
২০১৭ সালে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিলে টিম প্রাইমাস নামে একটি গ্রুপ তৈরী করেন। যার কাজ হলো নতুন নতুন উদ্ভাবনে হাত দেওয়া। দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানব কল্যাণে অংশ নেওয়া। তবে যথাযথ পৃষ্ঠপোষক না পাওয়ায় তাদের কাজ এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টিম প্রাইমাসের অন্যতম সদস্য ম্যাক রোজারিও প্রতিবেদককে জানান দীর্ঘ গবেষণা এবং পরিশ্রম করে আমরা গাড়িটি নির্মাণ করেছি। তিনি আরো জানান আমরা আমাদের মেধা, শক্তি, সামর্থ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাম ও ভাবমূর্তিকে আরো উচ্চ উঠাতে চাই আমাদের এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্যের অভাবে গাড়িটি যুক্তরাজ্যে পৌঁছবে কি-না তা নিয়ে আমরা সবাই শঙ্কিত। পৃষ্ঠপোষকের অভাবে আমাদের স্বপ্ন জয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড সম্ভাবনাময় এই মেধাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে তিনি সমাজের বিত্তশালী লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।