প্রবাস মেলা ডেস্ক: ২৭ ও ২৮ জুলাই ২০২৪ শেষ হলো বেঙ্গলি ইন্টারনেশনাল লিটারারি সোসাইটি আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী ২য় রকল্যান্ড রিট্রিট অ্যান্ড বুক ফেয়ার। ২৭ জুলাই দুপুরে এটি শুরু হয় নিউইয়র্ক নগরের অদূরে রকল্যান্ড কাউন্টির চেস্টনাট রিজ গ্রামের Threefold Education Center-এর সামনে তাবুর নিচে।
পাহাড়-টিলা আর সবুজ অরণ্যের মাঝে এ গ্রামের লোকজন বিখ্যাত অস্ট্রিয়ান দার্শনিক রুডলফ স্টেইনারের জীবনাদর্শে উজ্জীবিত: Body, Mind and Spirit. আর এই মন্ত্রেই জেগে উঠেছিলো বই মেলা। শারিরীক সুস্থতা ও মনকে ঠিক রাখতে ঘাসের উপর শুরু হয় body stretching and exercise, তারপর বনের মাঝে হাঁটা। এরপর ইয়োগা এবং মেডিটেশন। অনেকেই শরীর জুড়ান ছায়াঘন সুইমিংপুলের টলটলে জলে।
সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ১২ ঘণ্টার প্রোগ্রামে- উদ্বোধন, জাতীয় সঙ্গীত (বাংলাদেশ ও আমেরিকা) পরিবেশন করেন স্থানীয় থ্রি ফোল্ড কমউনিটির গ্যালিলি ডেমাও, ডায়ান ডেমাও, জেনি টোথ ও জেনেট রডরিগাজ আলোচনা, নৃত্য, সঙ্গীত, জাদু, লেখালেখি প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ, অটিজম প্রতিভার স্ফূরণ, বই মেলা সহ নানান আকর্ষণে সাজানো হয়েছিল দু’দিনের এ আয়োজন।
প্রথম দিন বিকেল ৩টায় বন-মননে সুসজ্জিত মঞ্চ থেকে সবাইকে আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, বিজ্ঞানী ও ছড়াকার ড. ধনঞ্জয় সাহা। ২য় বার স্বাগত জানান এ আয়োজনের আহ্বায়ক তরুণ সংগঠক গীতিকার, সুরকার ও গায়ক গৌতম সাহা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক মিনিট নীরবতার পর অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক যোগ দেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। তিনি ফিতা কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্যের মধ্যেই বহু জাতি, বহু বিশ্বাসের নিয়ামক বিষয়গুলোর সমৃদ্ধ সবস্থান রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আন্তর্জাতিক বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে প্রবাসীরা অনন্য যে কাজ করছেন, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ রকল্যান্ডের এ বইমেলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেভারেন পল নিউট, দাস ফেমিলি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী ড. শান্তনু দাস, জেনেট রডরিগাজ প্রমুখ।
ব্রিটিশ আমেরিকান পাদ্রী পল নিউটন বলেন- তার বাবা অক্সফোর্ডের শিক্ষক ছিলেন। ছেলে পলকে রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী উপহার দিতেন। সে থেকে তার রবীন্দ্রনাথকে জানা। তিনি মানুষ, দেহ, আত্মা এবং রবীন্দ্রনাথের লেখার উপর আলোচনা করেন। জেনেট রডরিগাজ এন্থোসপি মেডিকাল পদ্দতির ভাবাদর্শ এবং তার সাথে লেখার সম্পর্ক নিয়ে বিশেষায়িত মানুষদের নিয়ে কথা বলেন। উল্লেখ্য, একটি ভিন্ন ধর্মী বিশেষায়িত স্কুল পরিচালিত হয় এখানে তিনি তার প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর যেখানে বিশেষায়িত শিশু এবং মানুষদের নিয়ে জীবনব্যাপী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লেখকদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। লেখকদের মধ্যে কবি ফকির ইলিয়াস, শহীদ রাজু, ফারহানা ইলিয়াস তুলি, জান্নাতুল ফেরদৌস, মিজানুর রহমান, দিলীপ নাথ, উইলিয়াম টেইলর, এমি পুরস্কার বিজয়ী শেখর দীপু, অমিয় দাশ, ড. দিপা সাহা, ইব্রাহীম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনের বুক স্টল উদ্বোধন করেন কবি ফকির ইলিয়াস।
ভাব বিনিময়, আড্ডা ও আলোচনায় এবং পরিচিতি বিনিময়ের মাধ্যমে সবুজ প্রান্তরে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে চমৎকার সময় কাটে সুধীজনদের। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় জৈব আহার Threefold cafe-এর সুবিনস্ত কক্ষে। এরপরে, কবি ফকির ইলিয়াসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কবিতা পড়েন কবিরা, কেউ ছড়া পাঠ করেন বা কেউ সাহিত্য নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠেন।
বই মেলার প্রথম দিনের একটি উল্লেখযোগ্য বক্তব্য ছিল কবি ফকির ইলিয়াসের “Bangabondhu the Poet of Politics” যেটার সুত্রপাত করেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বিজ্ঞানী ও ছড়াকার ড. ধনঞ্জয় সাহা। আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ ছিলো অশওয়াতি অরুনের কুচিপুরি নাচ।
বেঙ্গলি ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি সোসাইটির (বিলস) আয়োজিত “বনের মাঝে লেখার খোঁজে”-এর দ্বিতীয় দিন রবিবার জুলাই ২৮ তারিখে আমন্ত্রিত অতিথিগণকে বনের সৌন্দর্যে মুগ্ধচিত হয়ে জুমের অনুষ্ঠানে বসতে হয়েছে অনিবার্য কারনে। জুমে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেন টরন্টো, কানাডা থেকে বিলসের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব কানাডার সভাপতি কবি মৌ মধুবন্তী, বাংলাদেশ থেকে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা এবং খ্যাতিমান নেপালী কবি ইউইউতসু শর্মা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে তাদের পরিচয়ের পরেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কবি ও আবৃত্তিশিল্পী মৌ মধুবন্তী। তিনি তার বক্তব্যে ডাইভার্সিটি, ইকুইটি ও ইনক্লুসিভনেসের উপর জোর দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও কবি ইউইউতসু শর্মা। বক্তব্যের পাশাপাশি তারা কবিতাও পাঠ করেন।
পরের পর্বে কবি মৌ মধুবন্তী ভূগোলবিদ হিসাবে, যে বক্তব্য রেখেছেন তার শিরোনাম ছিল, “The Correlation between the Movement of the Earth’s Tectonic Plates and Writers’ Emotional Coherence”। তার পরপরই শুরু হয় পোয়েট্রি স্ল্যাম বা “বনের মাঝে লেখার খোঁজে” লেখা প্রতিযোগিতা। দেশাত্মবোধ ও বনের পরিবেশ নিয়ে ১০টি শব্দ দেয়া হয় লেখকদেরকে। সে সব শব্দ দিয়ে বনের ভেতরে গিয়ে উপস্থিতভাবে কবিতা, গল্প, গীতিকবিতা যে যা পারে লেখার জন্য মগ্ন হন লেখকরা। সময় ছিলো পঁচিশ মিনিট। জন ডেমিও সেখানে যে গান লিখেছেন এবং তাৎক্ষনিক সুর করে গেয়েছেন বাংলাদেশের ছাত্রদের অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণ নিয়ে তা যেন মেডিসিন স্কয়ারে গাওয়া সেই একাত্তরের প্রতিধ্বনি তুলেছে। প্রত্যেকের লেখায় চমৎকার উপলব্ধি ও চিত্রকল্প উঠে এসেছে বলাই বাহুল্য। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বেলাল বেগ, লেখক ও প্রকাশক আমিনুল ইসলাম। এতে বাংলা ইংরেজী দুই ভাষাতেই লেখবার সুবিধা ছিল। অনুষ্ঠানে বহু ভাষার লোক উপস্থিত ছিল।
দ্বিতীয় দিন লেখা পড়েন নিউইর্কের কবি বেনজির শিকদার, মিজানুর রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস, সুমা রোজারিও, প্রথম চক্রবর্তী, ইরামনি দেবি, প্রকাশ চক্রবর্তী, বনিসা মুখার্জি, জন ডেমিও, ও নিউ জার্জির জিতা চৌধুরী, ম্যারিলান্ডের ড. দিপা সাহা, প্যানসেল্ভেনিয়ার গৌতম সাহা, ঢাকার আমিনুল ইসলাম, ফ্লোরিডার অমিয় দাস, ও পেরুর ডেনিয়েলা রোজারিও প্রমুখ।
লাঞ্চের সময় ম্যারাথন রানার মোহাম্মদ নাসির শিকদার, “Run, Eat Well & Rest To Increase Energy To Write”-এর উপর তথ্য বহুল বক্তব্য রাখেন। লাঞ্চ ব্রেকে সবাই আমেরিকান অর্গানিক ও বায়োডাইনামিক ফুড উপভোগ করার পর, স্বল্প সময়ের জন্য বুক স্টল ও ক্রাফট স্টলের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন লেখক ও প্রকাশক আমিনুল ইসলাম। মুহুর্তেই শেষ হয়ে যায় বেনজির শিকদারের কবিতার বই। বেশী বই বিক্রী হয়েছে ফারহানা ইলিয়াস তুলি, দিলিপ নাথ, জান্নাতুল ফেরদৌস ও ধনঞ্জয় সাহার, তার বই বিক্রি হয়েছে চল্লিশটির উর্ধে।
তারপর অটিস্টিক লোকদের লেখা কবিতা ও গানের পরিবেশনায় দর্শক শ্রোতা ছিল মুগ্ধ ও অভিভূত। দর্শক, শ্রোতায় উপছে পড়ছিলো তাঁবুর নীচে সাজানো হল। এ দুদিনে শতাধিক লোকের আগমন হয়েছে যা ছিলো আয়োজনের দ্বিগুন।
এখানে পরে সভায় যোগ দেন শিকাগোর সম্মানিত কনসাল মনির চৌধুরী। তিনি চমৎকারভাবে সাহিত্যের এ আযোজনের প্রয়োজনীয়তা এবং সুফলের ব্যাখা দিয়েছেন তার বক্তব্যে। এ অনুষ্ঠানে সন্মানিত করা হয় দু’জন আলোকিত মানুষকে: বাংলা সাহিত্যে পারদর্শী, লেখক, অনুবাদক, গবেষক এবং বাংলার বিখ্যাৎ কবি জীবনানন্দ দাশের উপরে লেখা অনেক বইয়ের রচয়িতা প্রফেসর ড. ক্লিন্টন বি সিলি। অনিবার্য কারনে তিনি আসতে পারেননি। পুরস্কার পৌঁছে দেয়া হবে তার কাছে। অন্যজন ছিলেন সর্বজন প্রিয় ও সমাদৃত লেখক, মাস কমুনিকেটর ও শিক্ষক, সমাজের ইতিবাচক চেতনার ধারক-বাহক বেলাল বেগ। এভাবেই এই বিরল দুজন মানুষকে বর্ণনা করেন বিলস-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. ধনঞ্জয় সাহা। পদক পরিয়ে দেন শিকাগোর বাংলাদেশ দূতাবাসের অনারারি কন্সাল মনির চৌধুরি।
সভায় পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় দাস ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের মানবিক কার্জক্রমকে যার জন্ম হয়েছিলো প্রায় একশ বছর আগে বাংলাদেশের সিলেটে। এটা বর্তমানে কানেক্টিকাটের মনরোতে অবস্থিত যার চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী ড. সান্তনু দাস। বিবেকানন্দ স্টাডি এন্ড ফিলান্ত্রথ্রপিক সেন্টারের কার্যক্রম তুলে ধরেন এ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকাশ চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখেন, আমেরিকান এমি এওয়ার্ড বিজয়ি “We Can Be Heros” শর্ট ফিল্মের রচয়িতা দিপঙ্কর দিপু।
সেখানে এন্ডেভার ২১+ স্কুলের অটিস্টিক লোকেরা উপস্থিত ছিল তাদের মা বাবাদের সাথে। তাদের লেখা নিয়ে পর্বটি পরিচালনা করেছে গ্যালিলি ডেমাও। অংশ নিয়েছে, আনন সাহা, ডানসন ওয়াম্বুয়া, আসাফ সুকোভ, বিনিত রেডি, বিবেক মুখার্জী, এবং আরো অনেকে ড. ধনঞ্জয় সাহা ও ডা. অনিমিতা সাহার পুত্র আনন সাহার লেখা কবিতা পড়ে শোনান অল্টারনেটিভ কমিনিকেশান স্পেশালিস্ট গালেলি ডেমাও-
River
River with many
Stories
Heavy with tears
It carries
Tomorrows secret
Worries.
জন কারলোস ইয়াং শোনান উডি গাথ্রীর This land is your land, and this land is my land… শ্রোতা-দর্শনার্থিদের অনেকে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন এ কবিতা এবং গান শুনে।
অস্টিন, টেস্কাস থেকে আসা সোমা মুখোপাধ্যায়, neoroatypical individual-দের জন্য রেপিড প্রম্পটিং মেথডের উপরে (RPM) কমিউনিকেশান এবং ক্রিয়েটিভ রাইটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি এই মেথডের উদ্ভাবক যা দিযে তিনি সাড়া জাগিয়েছেন বিশ্বব্যাপী স্পেশান নীড লোকেদের জগতে। কিভাবে এসব মানুষের অন্তনিহিত প্রতিভাকে প্রকাশ করা যায় তা একজন অটিস্টিক যুবকের সাথে কাজ করে সামনা সামনি দেখান।
পরে বাংলায় গান পরিবেশন করেন ইরামনি দেবি, প্রথম চক্রবর্তী ও টগর চৌধুরি, আবৃত্তি করেছেন, কবি সুমা রোজারিও, মিজানুর রহমান। ইংরেজী কবিতা পড়েছেন ড. দিপা সাহা ও ড্যানিয়েলা রোজারিও। বাংলা গানে নাচ করেছে কিশোরীশিল্পী নুসরাত শিকদার কথা। ম্যাজিক দেখিয়েছেন আলবার্ট বর্মন যা ছোট বড় সবাই উপভোগ করেছে সমান ভাবে।
বনের মাঝে তাৎক্ষণিক লেখায় বাংলা কবিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন অমিয় দাস, ইংরেজীতে ড. দীপা সাহা, অন্যান্য ক্রিয়েটিভ এন্ডেভারে ড. জন ডেমাইও।
আমেরিকান মালবেরি গ্রুপ নাচ, গান, ও আবৃত্তি পরিবেশন করেছে মিস গ্যালিলি ডেমাওর নেতৃত্বে। এই গ্রুপের একজন বৃদ্ধা মাও স্ব-প্রনোদিত হয়ে গান পরিবেশন করেছেন হৃদয় উজাড় করে। মিশে গেছে ইংরেজী গান বাংলা সংস্কৃতির সাথে। অনুষ্ঠান শেষে স্পেশাল নীডের সকল অংশগ্রহণকারিদেরকে সার্টিফিকেট দিয়ে উজ্জীবিত ও সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক গৌতম সাহা।
অনুষ্ঠানের পরে শিকাগোর অনারারি কনসাল মনির চৌধুরি সহ অনেকেই গতবারের মতোই ড. ধনঞ্জয় সাহার বাড়িতে চা চক্র এবং নৈশ ভোজে যোগ দেন। এটাও অনুষ্ঠানের একটি অভিনব পর্ব তিনি চালু করেছেন। বলাই বাহুল্য অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবেই সফল এবং সকল অংশগ্রহণকারির কাছে খুবই সমাদৃত হয়েছে। সকলেই আগামি বছরের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে অংশ নিবেন বলে জানিয়ে গেছেন। আগামি বছর অনুষ্ঠান হবে জুলাই মাসের ২৬-২৭, ২০২৫ তারিখে।