প্রবাস মেলা ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও বাড়তে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিবেশী এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত চারজন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত করা হলো। ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায়। এই রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত তিনজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ২৪ জুলাই ২০২২, রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয়য় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে ভারতে শনাক্ত চতুর্থ রোগীর বয়স ৩১ বছর। তার সামান্য জ্বর রয়েছে এবং শরীরে ফুসকুড়ি বেরিয়েছে। অবশ্য মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বিদেশে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তাকে দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণে না গেলেও সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের মানালিতে একটিপার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরই তিনদিন আগে তিনি জ্বর ও গায়ে ফুসকুড়ি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে গুটি বসন্তের টিকা এ রোগ থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। কারণ দুটি ভাইরাসের ধরন প্রায় একই রকমের।
জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতই ভয়ংকর, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারা যেতে পারেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাস মোকাবিলার মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমানো যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।
সূত্র: এনডিটিভি