প্রবাস মেলা ডেস্ক: যুগের পর যুগ ধরে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী বহু ফিলিস্তিনি। গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে এই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ফলে ফিলিস্তিনি বন্দী দিয়ে ইতোমধ্যে তাদের কারাগার কানায় কানায় পরিপূর্ণ। তাই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের প্রায় ২০টি অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২৩ জুন) ইসরায়েলি সরকারি সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার করপোরেশন জানিয়েছে, কারাগারে জায়গার অভাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত এই সপ্তাহের জন্য পরিকল্পনা করা প্রায় ২০টি গ্রেপ্তার অভিযান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে বন্দিশালা এবং কারাগারে জায়গার স্বল্পতার ফলে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ভবিষ্যতে আরও গ্রেপ্তার এবং পাল্টা ব্যবস্থা বাতিল করা হতে পারে।
ইসরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের গত এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী, তাদের কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দী ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ১৪ হাজার। যদিও বন্দীদের প্রকৃত সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শিন বেতের তথ্যের বরাতে গত সপ্তাহে দৈনিক মারিভ জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীর থেকে প্রায় ৪ হাজার ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে নেতানিয়াহু সরকার। তবে রোববার ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৩১০ জন নারী ছাড়াও অন্তত ৬৪০ জন শিশু রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ভয়ংকর অপরাধ করেছে। এর ফলে অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন।