প্রবাস মেলা ডেস্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রসংসা করে ভারত জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসনের ইস্যুটির সমাধানে দেশটির বড় অংশীদারত্ব রয়েছে। স্থানীয় সময় ১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মিয়ানমার ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর আর মধুসুদন এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।
আর মধুসুদন বলেন, ভারত ক্রমাগতভাবে এই সমস্যাটির ব্যবহারিক, বাস্তববাদী এবং স্থায়ী সমাধানের পক্ষে কথা বলে আসছে। এই লক্ষ্যে কক্সবাজার ও রাখাইন রাজ্যে থাকা মানুষের (রোহিঙ্গাদের) জন্য আমাদের সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষকে আতিথ্য দেওয়ার জন্য দেশটির প্রশংসা করি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ক্রমাগত যে মানবিক বোঝা বহন করছে এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য দেশটি যে প্রচেষ্টা নিয়েছে, সেটির আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি দেওয়া ও অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ।
মধুসুদন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আর্থিকভাবে সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মৌলবাদ সংক্রান্ত সমস্যা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত মোকাবিলা করা করতে সহায়তা করা জরুরি।
২০১৭ সালে সশস্ত্র হামলা, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যায়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার জানিয়েছে, তারা বনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে অথবা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে।