প্রবাস মেলা ডেস্ক: রূপকথার গল্পে যেমন একজন সুদর্শন রাজকুমার থাকে, তার হাতে থাকে সাম্রাজ্যের বিশাল দায়িত্ব, ঠিক তেমনি একজন রাজকুমার বাংলা চলচ্চিত্রের শাকিব খান। যার হাতে অনেকটাই বেঁচে আছে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির খুঁটি। চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছাড়াও তাকে বলা হয় ঢালিউডের কিং খান। ১৯৯৯ সাল থেকে একচেটিয়া বাংলা চলচ্চিত্র রাজত্ব করছেন এই চিত্রনায়ক। দুই বাংলাতেই তিনি বেশ জনপ্রিয়।
মাসুদ রানা নামে তাকে কেউ চিনুক আর নাই চিনুক, শাকিব খান নামে তাকে সারা বাংলাদেশ চেনে। চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র ক্যারিয়ারের ২৩ বছর পার করেছেন। আর এত বছরের জীবনের নানান উত্থানপতন নিয়ে জানিয়েছেন এই তারকা। সিনেমা জগতে পা দিয়েই খ্যাতি পাওয়াটা এত সহজ ছিল না। ব্যর্থতা থেকেই বারবার শিক্ষা নিয়েছেন এই সুপারস্টার। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে চলচ্চিত্রে শাকিবের শুরু।
নৃত্যপরিচালক আজিজ রেজার সহযোগিতায় মাসুদ রানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেন। প্রথমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় নায়ক হিসেবে অসংখ্য ছবিতে কাজ করার পর প্রধান নায়ক হিসেবে শাকিব দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
ক্যারিয়ারের এই সফলতার ২৩ বছরে এসে তাই তো সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শাকিব। শাকিব সোশ্যল মিডিয়ায় তার সহশিল্পী থেকে শুরু করে সিনেমা জীবনের সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, শুরুতে জানতেন না ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে। প্রথম দিকের সিনেমাও তেমন সাফল্য পায়নি, তারপরও হাল ছাড়েননি তিনি।
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন, ব্যর্থতাকে সাফল্যের মতো প্রাধান্য দিয়েছেন। আর এ জন্যই তিনি সবার শাকিব হতে পেরেছেন। এ সময় তিনি আরও জানান, অভিনয় জীবনে আজ পর্যন্ত যেসব পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী এবং ক্যামেরার পেছনে থাকা কলাকুশলীর সঙ্গে কাজ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে তাদের অবদান অসামান্য! দর্শক ও পরিবারকে দিয়েছেন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।