আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ‘দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার থেকে।
দিনটি ছিল ‘ওপেন ডে’। এই ওপেন ডে’তে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করে। এসময় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাজী মো: জসিম উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মিঠু আহমেদ, অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার সাহা, উপাধ্যক্ষ সুজন খান ও চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী মোমেনা আক্তার নিলি উপস্থিত ছিলেন।
দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন রনি আহমেদ। ওপেন ডে’তে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাফিসা আক্তার, নওশীন সুলতানা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সুস্মিতা সুলতানা, ইন্ডিয়ান শিক্ষকদের মধ্যে মিস্টার লেনিন, মিসেস সুচরিতা (কলকাতা) এবং শ্রীলঙ্কান সেলভী।
ওপেন ডে’তে স্কুলের চেয়ারম্যান হাজী মো: জসিম উদ্দিন আশা প্রকাশ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্কুল ও কলেজের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হবে। এর আগে শুক্রবার স্কুলে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত ওপেন ডের বক্তব্যে হাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, কারণ ইতালি রোমে অনেক বাংলাদেশি ফ্যামিলি আছে, যারা নুন্যতম খরচে তাদের ছেলেমেয়েদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াতে চায়, যা আমাদের এই স্কুলে সুযোগ আছে।
ইতালিতে বড় হওয়া আগামী প্রজন্মকে পৃথিবীর ইংলিশ ভাষার দেশে গিয়ে যেন কোন এক্সট্রা ইংলিশ কোর্স করতে না হয়, কোন ইউনিভার্সিটি বা কোন চাকুরী নিতে সবস্যা না হয়, নিজেদের যোগ্য মানুষ করে গড়ে তুলতে পারে। এসব চিন্তা থেকেই আমার এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্রতিষ্ঠা করা।
ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রনি আহমেদ টেলিফোনে সাক্ষাৎ এ জানান, তাদের স্কুল উদ্বোধনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই স্কুলটি শুধু ইতালিতে নয়, ইউরোপের মাটিতে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, আমরা এই স্কুল ও কলেজকে ভবিষ্যতে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, যুগ উপযোগী পাঠদান করা হবে এই প্রতিষ্ঠানে। ইতালি প্রবাসী শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারত শ্রীলংকাসহ অন্যান্য দেশের ছাত্রছাত্রীরা এখানে ভর্তি হচ্ছেন।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা যেসব শিক্ষক শিক্ষিকা নিবো তাদের কোয়ালিটি, মান যাচাই করে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা দেখেই নিয়োগ দিবো। আপনার সন্তানকে আমাদের এই নুতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।
ভাইস প্রিন্সিপাল সুজন খান মনে করেন, দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ হবে ইতালিতে একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান। যেখানে পড়াশোনা করে আজকের শিশুরা আগামী দিনে বিশ্বের যে কোন নামকরা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেদিকেই। এই স্কুলটিতে ইংরেজি মাধ্যমের পাশাপাশি বাংলা, ইতালিয়ান এবং ইসলামী শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।