আবুল কালাম আজাদ খোকন, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি: অক্টোবর ১৯ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবীতে ১৩ অক্টোবর রবিবার বিকেল ৫:৩০ মিনিটে সিডনির ল্যাকান্বা রেলওয়ে প্যারেডে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার আয়োজন করেছেন আইরাইট মানবধিকার সংগঠন।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নবধারা নিউজের সম্পাদক ও সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ খোকনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জি: মো: হাবিবুর রহমান, ইঞ্জি: সোহেল ইকবাল, ডাঃ আব্দুল ওয়াহব, ডা: দবির উদ্দিন, ড. নার্গিস বানু, লিয়াকত আলী স্বপন, ফজলুল হক শফিক, এএনএম মাসুম, আকাশ, নাছিম আহমেদ প্রমুখ।

আইরাইট মানবধিকার সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে আবরারের মত আর কোনো প্রাণনাশ না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির চর্চা থাকতে পারে কিন্তু কোন দলের অধীনে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামীদের সুষ্ঠ ও দ্রুত বিচার যেন সম্পন্ন হয়।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও অভিযুক্ত ছাত্রদের আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে এবং মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। আর যেন এমন ভাবে কোন মায়ের বুক খালি না হয় সেজন্য ফাহাদ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় সকলেই। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরাসহ দেশে-বিদেশে বহু মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও নানা ধরনের কর্মসূচি এখনো চলছে।
সভার আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সর্বস্তরের জনগণ। বিভিন্ন লেখাসম্বলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফ্যাস্টুন হাতে আবরার হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি জানান সিডনিবাসীরা।
পিটিয়ে হত্যার করার একটা ডেমো প্রর্দশন করা হয় প্রতিবাদীরা। ক্ষুব্ধ জনগণের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো,-‘আবরার হত্যার বিচার চাই, হত্যা বন্ধ করো, বিবেক কবে জাগ্রত হবে?, আবরার মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, খুনীদের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ অক্টোবর রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।