কামাল পারভেজ অভি, মক্কা, সৌদিআরব প্রতিনিধি: রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) উত্থাপন করার জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর কাছে সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বেচ্ছা তহবিল ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে যেন রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত হয় সেজন্য এ সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের (সিএফএম) সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বিচার সম্পর্কিত ইস্যুটি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি নিয়ে আসার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। স্বেচ্ছায় তহবিল ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রসগুলোর কাছে আবেদন করছি।’ আজ শনিবার সৌদি আরবের সাফা প্রাসাদে ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে সৌদি আরব। এবারের সম্মেলনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘মক্কা সামিট : টুগেদার ফর দ্য ফিউচার’। এ সময় শেখ হাসিনা জানান, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনো অনিশ্চিত। দারিদ্র্য এখনো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি মোকাবিলার জন্য যৌথ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওআইসি-২০১৫ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।’ তিন দেশের সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর চার দিনের জাপান ভ্রমণ শেষ করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় গন্তব্য সৌদি আরব পৌঁছান। তিন দিনের সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শনিবার মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি পবিত্র ওমরা পালন ও আগামীকাল রোববার হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করবেন। এরপর ৩ জুন ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে সৌদি আরব ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ৭ জুন পর্যন্ত থাকবেন তিনি। ১২ দিনব্যাপী তিন দেশ সফর শেষে ৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।