রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: ক্রমেই বাড়ছে (কোভিড -১৯) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে সোমবার থেকে পর্তুগালে প্রাথমিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে পর্তুগাল সরকার। রবিবার পর্যন্ত এই রোগের সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫, যা অতীতের চেয়ে একদিনে রেকর্ডকৃত ৬৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২০, রবিবার পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-জেনারেল ফর হেলথের (ডিজিএস) মতে, রবিবার ২২৭২ জন সন্দেহভাজন সহ ৪৫৯২ জনকে পর্তুগাল বিভিন্ন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ার সাথে সাথে দেশটির জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে কোভিড -১৯ এর আতঙ্ক।
এদিকে রবিবার পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে ঘোষণাদেন রবিবার থেকে স্পেনের সাথে পর্তুগালের বর্ডারে বিশেষ নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ করবে পর্তুগালের বর্ডার গার্ড (জিএনআর), ইমিগ্রেশন পুলিশ (সেপ) এবং ডিজিএস এর গার্ডের তিন স্তরের পুলিশ। প্রাথমিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর ১৬ মার্চ ২০২০, সোমবার থেকে পর্তুগালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম, উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহের সকল প্রকার জিম, গ্রন্থাগার, সিনেমা হল, মার্কেট সমূহ বন্ধ সহ পর্যটন ও অবকাশের উদ্দেশ্যে আসা সকল পর্যটকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
সেই সাথে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং স্পেন সরকারের সাথে আলোচনার পর পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা পর্তুগালের সাথে বহিঃবিশ্বের সাথে বিমানবন্দর এবং সমুদ্রের সমস্ত সীমানা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিবেন। করোনা ভাইরাসে প্রভাব পর্তুগালের লিসবন, পোর্তো, আলগ্রাভের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। ১৩ মার্চ পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-জেনারেল ফর হেলথ (ডিজিএস) বাংলা ভাষায় পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোনদের জন্য করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা ও পরামর্শমূলক পোস্টার ও লিফলেট প্রচার করেছে।