হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ফোবানা সম্মেলনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ফোবানার নাম বেআইনিভাবে ব্যবহার করার প্রবণতাও বাড়ছে। তাই সর্বসাধারণের সুবিধার্থে আমাদের এই সতর্কবার্তা।
ফোবানা একটি প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের নাম যারা গত ৩২ বছর ধরে উত্তর আমেরিকায় প্রতি বৎসর সম্মেলন করে আসছে যা ‘ফোবানা’ নামে পরিচিত। ইউ,এস,পি,টি,ও, ফোবানাকে আগামী ১০ বৎসরের জন্য ‘ফোবানা’ ট্রেডমার্ক ব্যবহারের একছত্র মালিকানা দিয়েছে যা কোনভাবেই আর কেউ দাবী করতে পারবে না। একে বলে Trademark Incontestability । এটা ল্যানহাম এ্যাক্ট-এর ১৫ ধারার ১০৬৫ উপ-ধারায় বর্ণিত। এই আইনের আওতায় ফোবানা এবং ফোবানার নামের সাথে কাছাকাছি মিল থাকা যে কোন নাম, লোগো, ঠিকানা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ফোবানা বাংলাদেশেও একটি ট্রেডমার্ককৃত সংগঠন।
এই বছর (২০১৯) শুধুমাত্র নিউইয়র্কের ড্রামা সার্কল এবং আগামী বছর (২০২০) শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট) সম্মেলনের নানাবিধ প্রচারণার এবং সাংগঠনিক কর্মকান্ডের জন্য ‘ফোবানা’ নাম, লোগো ইত্যাদি ব্যবহার করার অনুমতিপ্রাপ্ত। এই দুই সংগঠন ছাড়া যদি কেউ বেআইনিভাবে ‘ফোবানার’ নাম ব্যবহার করেন, তবে তা হবে ল্যানহাম এ্যাক্ট-এর ১৫ ধারার ১০৬৫ উপ-ধারায় আইনত দন্ডনীয়।
ফোবানা এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন ও লিগ্যাল কমিটির চেয়ারপার্সন মীর চৌধুরী এবং ফোবানা এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী ও মিডিয়া ও পাবলিক এওয়ারনেস কমিটির চেয়ারম্যান, জাকারিয়া চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ফোবানার আইনজীবীরা সব মিডিয়ার প্রতি লক্ষ্য রাখেন এবং ফোবানা সম্পর্কিত সকল খবরাখবর সযতনে সংগ্রহ করে থাকেন।
তাই মিডিয়াতে ছাপানো বা টিভিতে দেখানো যে কোন খবর অথবা ফোন ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি বা ভিডিও আদালতে পেশ করার সকল প্রস্তুতি ফোবানার নেয়া আছে।
ইতিমধ্যে নিউইয়র্কের একটি সংঘবদ্ধ দুষ্ট চক্র ফোবানার নাম অবৈধভাবে ব্যবহার করে একটি অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করছে। যার প্রেক্ষিতে ফোবানার লিগ্যাল টিম ওয়াশিংটন ডিসির বিখ্যাত আইনজীবীদের সমন্বয়ে তাদের প্রত্যেককে এবং তাদের বুকিংকৃত হোটেল কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এরপরও যদি তাদের এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না হয়, তা হলে তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে। এছাড়া জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে “ফোবানার” নাম ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।