রনি মোহাম্মদ, লিসবন,পর্তুগাল প্রতিনিধি: পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে রবিবার রাতে বাংলাদেশিদের কেন্দ্রস্থল মাতৃ-মনিজ এলাকার বেনফরমসোর সড়কের স্পাইসি ও রাধুঁনী রেস্টুরেন্টে আয়োজিত হয় এই ঈদ পুনর্মিলনী।
ঈদ পরবর্তী সময়ে লিসবনে বসবাসরত প্রায় ৪০০ প্রবাসী বাংলাদেশী ঈদ পুনর্মিলনী ও নৈশভোজে অংশ নেয়। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় লিসবনের মার্তৃ-মনিজ সড়ক। কাজী ইমদাদ
দীর্ঘ সময় ধরে পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষের জন্য কাজ করছেন। ২০০০ সালের দিকে পর্তুগালে আসেন এই মুক্তিযোদ্ধা। ১৯ বছরের প্রবাস জীবনে কাজী ইমদাদ হাজারো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পর্তুগালে অভিবাসন সংক্রান্ত নানা কাজে বাংলাদেশিদের কাছে অনন্য ঠিকানা কাজী ইমদাদ।প্রতিবছরই তিনি ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে থাকেন এই প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা।
ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইমদাদ বলেন, ঈদের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষদের একত্রিত করে একটি পুনর্মিলনী আমাদের সবাইকে আনন্দঘন একটি মুহূর্ত উপভোগের সুযোগ করে দেয়। আমি প্রতিবছর চেষ্টা করি ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন করতে, এই আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ করতে দেখে আমার ভালো লাগে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রবীণ নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশি পরিবারগুলো অংশগ্রহণ করেন।
ঈদ পুনর্মিলনীতে আগত অতিথিদের জন্য দেশীয় খাবারের নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়, অংশগ্রহণকারী সকলে খাবার উপভোগ করেন। পরিবার-পরিজন ছাড়া প্রবাসে ঈদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। তাই বেদনা ভরা মন প্রতিনিয়তই কিছু না কিছুতে আক্ষেপ ঘোচানোর চেষ্টা করে। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানই গুলো প্রবাসীদের কিছুটা আনন্দের উপলক্ষ্য করে দেয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এতে মেতে উঠেন অনাবিল আনন্দে। প্রবাসে সবাইকে একত্রিত করে আনন্দ, হাসি, আড্ডার সুযোগ করে দেয়।