সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম: সীতাকুন্ড গুলিয়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক ও সীতাকুন্ড উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি মরহুম নূর আহমেদ স্মরনে এক বিশাল শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমীন শফির সভাপতিত্বে গুলিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ.কে.এম তফাজ্জল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মুরাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, মুরাদপুর ইউনিয়ন আওশামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোয়া মিঞা কন্ট্রাক্টর, সীতাকুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম শ্রমিকনেতা নূর আহমেদের ছোট ভাই মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, গুলিয়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসলাম, গুলিয়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, সাবেক ছাত্রনেতা বেলাল, যুবনেতা আবুল হাসেম প্রমুখ।
যুবনেতা মদিন উল্যাহর সঞ্চানালয়ে উক্ত এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতাদের নামের তালিকানুসারে শোক প্রস্তাব আনেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার। পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম শাহজাহান হুজুর।
প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ.কে.এম. তফজল হক মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধাকমান্ডার শ্রমিক জননেতা নূর আহমেদের জীবনের উপরে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, সীতাকুন্ড তথা উত্তর চট্টগ্রামে নূর আহমেদ শ্রমিজ জনতার উজ্জ্বল নেতৃত্বের আলোকিত উদাহরণ। তিনি ছিলেন আদর্শে অপ্রতিরোধ্য, নির্লোভ নিঃঅহংকার, সত্য ও ন্যায়ের প্রতিক। তাঁর সাথে সীতাকুন্ড উপজেলা কোন নেতার সাথে তুলনা চলে না। তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরূদ্ধে আপোষহীণ। লোভ লালসা থাকলে হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারতেন তিনি। কিন্তু তা করেননি। কেননা তিনি ছিলেন খাটি দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও একাধারে শ্রমিক জননেতা। শোক সভা শেষে মিলাদ মাহফিল ও তাবারুক বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।