প্রবাস মেলা ডেস্ক: নয়নকে কুপিয়ে মারলো দুর্বৃত্তরা। তোফায়েল আহমেদ নয়ন, বয়স ২৫। সে মেঘনা সেতু এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো।
প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত আনুমানিক ২ টার সময় কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়েছিল নয়ন ও তাঁর এক সহকর্মী। কিছু দূর যাওয়ার পর কয়েকজন যুবক তাদেরকে রাস্তার পাশের গলিতে নিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুবৃত্তরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় নয়নের সহকর্মী দোঁড়ে পালাতে পারলেও তাকে মারাত্মকভাবে যখম করে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে কয়েকজন নয়নকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন তাকে হত্যা করা হলো এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ ও তার পরিবার। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জমান বলেন, শনিবার রাতে খবর পেয়েই আমরা সেখানে যাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ঘটনার কোন ক্লু পাইনি। তদন্ত চলছে, আশা করছি শিগগিরই ঘটনার রহস্য বের করতে পারবো। এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মনিরুজ্জমান বলেন,
এখনও কোন মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই সালেহ উদ্দিন রাসেল জানান, আমার আদরের ছোট ভাই একটি ফ্যাক্টরিতে কয়েক বছর ধরেই চাকরি করছে। সে খুবই সহজ সরল মানুষ। আমার ভাইয়ের কোন শত্রু থাকার কথা না। কিন্তু কেন আমার ভাইকে এভাবে হত্যা করা হলো? আমি সরকার ও দেশবাসীর কাছে বিচার চাই। মামলা করার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা এখন ছোট ভাইয়ের দাফন নিয়ে ব্যস্ত আছি, দাফনের পর পরিবারের সবার সাথে আলাপ করে মামলা করবো।
এদিকে নয়নের অকাল হত্যার খবর শুনার পর তার নিজ এলাকায় চলছে শোকের মাতম। তারা কোনভাবেই এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছে না। সবাই নয়নের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত নয়নের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শোভানগর গ্রামে। সে চার বছরের একটি ছেলে, স্ত্রী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।