আনোয়ারুল ইসলাম রনি, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশিদের জয় জয়কারের ব্যতিক্রম হলো না দক্ষিণ কোরিয়াতেও।কোরিয়াতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দুইজনই বাংলাদেশি।
২ জুন রবিবার দক্ষিন কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তৃতীয় ইপিএস বাংলা কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল।
২০১৭ সাল থেকে বছরে একবার রমজান মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা। দক্ষিন কোরিয়ার বাংলাদেশি অধ্যুষিত উজম্বু সংউরী মসজিদে স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রথমেই কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এই কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতাটি।
প্রতিযোগিতায় কোরিয়াতে অবস্থিত কয়েকটি দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে সেই সাথে বিভিন্ন মুসলিম দেশের দূতাবাস অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকে।দেশী-বিদেশি নামকরা বিচারকের উপস্থিতিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কাতার দূতাবাসের আর্থিক সহযোগিতাও থাকে।
কোরিয়াতে অবস্থানরত কয়েকটি দেশের ৬৫ জন প্রতিযোগী রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেন ৷
উল্লেখ্য যে, এবারের প্রতিযোগী দেশগুলো হলো স্বাগতিক কোরিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কিরগিস্তান, উজবেকিস্তান,গাম্বিয়া, সেনেগাল ও কাজাকাস্তান।
বিচারক হিসেবে ছিলেন সংউরী মসজিদের খতীব মাওঃ মুফতি নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশী), মাওঃনিয়াজ উদ্দিন খতীব থকজং মসজিদ (আফগানিস্তান), মাওঃ খালেদ খতীব খোয়াংজু মসজিদ (পাকিস্তান) ৷
প্রথম পর্বে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে বিচারকগণ ৩ মিনিট করে সুযোগ দেন তাদের পছন্দ অনুযায়ী পবিত্র কোরআন থেকে আয়াত পাঠ করার জন্য, তারপর সেখান থেকে সেরা দশজন বাছাই করেন।দ্বিতীয় রাউন্ডে তীব্র প্রতিযোগিতা করে টপ টেনে উঠা সেরা দশজন প্রতিযোগী প্রথমে বিচারকগনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সুরা তেলাওয়াত করে এরপর বিচারক গন কোরআনের বিভিন্ন আয়াত বাছাই করে দেন তারপর তেলোওয়াত করতে বলেন সেখান থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে চূড়ান্ত নির্বাচিত হয় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ৷
২০১৯ সালের প্রথম স্থান ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দুজনই বাংলাদেশী।তাঁরা হলেন যথাক্রমে হাসনাইন আহমেদ ও মুহাম্মদ মুজ্জামেল হক এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সেনেগালের দামে সিসে ৷উল্লেখ্য যে, ইপিএস বাংলা কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিলের সহযোগিতায় ছিল ইপিএস বাংলা কমিউনিটির অফিসিয়াল স্পন্সর জি এম ই রেমিটেন্সসহ, কাতার দূতাবাস,কাতার চ্যারিটি, সুমাইয়া টেক এবং কে এম এফ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরুস্কার বিতরন করা হয়।পুরস্কার হিসেবে ছিল প্রথম পুরুস্কার ৭ লাখ কোরিয়ান উওন,দ্বিতীয় পুরুস্কার ৫ লাখ কোরিয়ান উওন ও তৃতীয় পুরুস্কার ৩ লাখ কোরিয়ান উওন ।এছাড়াও টপ টেনের সবাইকে ইপিএস বাংলা কমিউনিটি এবং জিএমই রেমিটেন্সের পক্ষ থেকে স্বান্তনা পুরুস্কার প্রদান করা হয়। পুরুস্কার বিতরনী পর্ব শেষে ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৭০০ জন রোজাদার একসাথে ইফতার করে।