হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খামারবাড়ি গ্রোসারী আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ২৮ জুন শুক্রবার ভোর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৭৩ স্ট্রীটের এ গ্রোসারীটি ভস্মীভূত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ খামারবাড়ি গ্রোসারীতে ঘন কালো ধোয়া বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরই দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা বেড়িয়ে আসতে থাকে ভেতর থেকে। ফায়র সার্ভিস প্রানান্ত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষণে পুরো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুন নেভাতে ফায়র সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের ৬০ জন কর্মী আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চারতলা ভবনের নিচতলায় ছিল মুদির দোকান খামারবাড়ি। খামারবাড়ির আগুনের লেলিহান শিখার তাপে চারতলার বাণিজ্যিক এ ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার অফিসগুলোরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টার পর দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ভস্মীভূত মুদি দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
খামারবাড়ির অন্যতম স্বত্তাধিকারী হারুন ভূইয়া জানান, ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪ ঘন্টার এ গ্রোসারীটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় একজন ক্যাশিয়ার ও ২জন মিট কাটার সেখানে কর্মরত ছিল। ৫/৬ জন কাস্টমার তাদের কেনা-কাটা করছিল। এসময় আকস্মিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে সবাই দৌড়ে দোকান থেকে বেড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণাত পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসে কল করা হয়। কিন্তু অগ্নিকান্ডের ১৮ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে পুরো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিভাবে আগুন লেগেছে এর কিছুই জানাতে পারেননি হারুন ভূইয়া। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত সহ পুরা বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারীরা কাজ করছেন বলে তিনি জানান। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার মার্শাল অফিস।
হারুন ভূইয়া জানান, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদের প্রায় হাফ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
খামার বাড়ী গ্রোসারীর অপর স্বত্তাধিকারী কামরুজ্জামান কামরুল যথাশিগগির খামার বাড়ী খোলা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।