প্রবাস মেলা ডেস্ক: জাপানে জনশক্তি রফতানিতে দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছে এসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট ইন বাংলাদেশ (আজলিব)। সংগঠনের পক্ষ থেকে আই’এম জাপান কর্তৃক ট্যাকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগে সরকারি পর্যায়ে দুনীতির নানা অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। ৩ এপ্রিল বুধবার অর্থনীতি রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনে আজলিব নেতারা।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আজলিবের সভাপতি ফরিদুল আলম বাবলু। এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পরও বিদেশে শ্রমিক প্রেরণে নানা প্রতিকূলতার এই পার্যায়ে জাপানে ইন্টারন্যাশনাল ম্যান পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন এট জাপান (আইএম জাপান) কর্তৃক ট্যাকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আইএম জাপান কর্তৃক ট্যাকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগ শুরু হয়, তখন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের চাহিদামত যোগ্যতা সম্পন্ন সকল নাগরিক পরিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০১৯ সালে নিয়োগে কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়নি। গোপনে অর্থের বিনিময়ে শুধুমাত্র সরকারি টিটিসি থেকে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বাছাই করে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। আমরা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহদোয়কে অবহিত করি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তথা ২,৩,৪ এপ্রিলের পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত করে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করি।
তিনি আমাদের এব্যাপারে আশ্বাসও দেন। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে আমরা দেখতে পাই বিএমইটির মহাপরিচালক টিটিসির প্রিন্সিপালদের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে ১ এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, গতবছর ট্যাকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের নিয়োগ প্রাপ্ত এবং মেধাতালিকায় আমাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের স্থান ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। এর প্রেক্ষিতে আরও নতুন শিক্ষার্থদের জাপানী ভাষায় শিক্ষা প্রদান করি।বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় চার হাজার ৫শ’ জাপানী ভাষা দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই পরিস্থিতে আমরা এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও হতবাক।