হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসে নিউইয়র্কে জীবন দিলেন বাঙালিনী তৃষা। মৃত্যুর তিনদিন পর সমাধিস্থ হলেন লং আইল্যান্ডে। সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে তার সম্পন্ন হলো দাফন-কাফন। ক্রেন দিয়ে কবরে নামানো হলো তরুণীর পবিত্র মরদেহ।
কোবিড ১৯-এ আক্রান্ত তৃষা মারা যান ২৩ মার্চ,২০২০। নিউইয়র্কে জ্যামাইকার হাইল্যান্ড এভেনিউতে ছিলো তার বসবাস। স্বামী বোরহান চাকলাদার পেশায় উবার চালক। তিনটি প্রাণবন্ত সন্তানের জননী তৃষার দুটি মেয়ে একটি ছেলে। কনিষ্ঠ ছেলে সন্তানটির বয়েস মাত্র ৪২ মাস। নিউইয়র্কে তৃষার প্রবাসজীবন মাত্র চার বছরের।

তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগন্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া-তেলিপাড়ায়। বাবা মনির হোসেন হাওলাদার একাত্তরের বীর-মুক্তিযোদ্ধা। তৃষার পুরো নাম আমিনা ইন্দালিব। জন্ম ১৯৮২-এর ১৬ জানুয়ারি মুন্সিগন্জে। গুণবতী ও রূপবতী হিসেবে ছিলেন সবার প্রিয়ভাজনেষু। তার আকস্মিক প্রয়াণে স্বদেশে-প্রবাসে শোকের ঢল নেমেছে। ৪২ মাসের শিশু-সন্তানটির প্রতিপালন নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতা চলছে। তবে নিউইয়র্কে সিটির পুলিশবিভাগ সরকারিভাবে তাদের লালন-পালনে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, করোনা’য় নিহতদের লাশ দাফন নিয়েও সমস্যা বিস্তর। স্বাস্থ্যবিধিতে হাত দিয়ে লাশ ধরার বিধান নেই। করোনা’ ‘ছোঁয়াছে রোগ হওয়ায় সেবাকর্মীরা সমাধিকর্মে অনাগ্রহী। তবুও বাংলাদেশ সোসাইটির হস্তক্ষেপে তৃষার লাশ দাপনে জটিলতার নিরসন হয়। লং-আইল্যান্ডের কবরস্থানে দ্রুত ‘সমাধি’ বরাদ্দ দেয় সোসাইটি। সভাপতি-সম্পাদক কামাল আহমেদ ও রুহুল-আমিন সিদ্দিকী তৎপর। অবশেষে ২৬ মার্চ ধর্মীয় মর্যাদায় তার দাফনকর্ম সম্পন্ন হয়। ক্রেনের মাধ্যমে কবরে নামানো হয় মরহুমার কফিন।
সংবাদ সূত্র: নিউজব্যাংক